পাতা:ব্যবসায়ে বাঙালী.djvu/১৯৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

>b"Q ব্যবসায়ে বাঙালী দেশ-বিদেশের খবরের জন্য যেমনি খরচ করে, তেমনি লাভও করে। কোন দেশে কোন ফসল কি পরিমাণ জন্মিল, কোন দেশে অজন্ম হইল —ইহারা তাহার এত হিসাব রাথিয় কাজ করে যে, আমরা তাহার খবরও রাখি না। হয়তো অপ্রচুর বৃষ্টির জন্য বাংলায় ধানের ফসল অজন্ম হইবে এরূপ আশঙ্কা দেখা দিল। এই অবস্থা বুঝিয়া পূৰ্ব্ব হইতেই ইহার রেঙ্গুণের ব্যবসায়িগণের সহিত সস্তাদরে চাউলের কণ্টাক্ট করিয়া রাখে। বাজারের এইরূপ পুঙ্খানুপুঙ্খ সংবাদ রাখিয়া ব্যবসায় করে বলিয়াই এই সকল ব্যবসায়ীরা প্রকাও ধনী । ইহাদের মত একচেটিয়া ব্যবসায় আর কাহারও নাই । সম্প্রতি ইহাদের জুলুম এতটা চরমে উঠিয়াছে যে, বাঙালী ব্যবসায়ীরা গত ২৮শে সেপ্টেম্বর ( ১৯৩৭ ) ৪নং শোভারাম বসাক ষ্ট্রীটে মহেশ্বরী ভবনে সমবেত হইয়া শ্ৰীযুক্ত অশ্বিনী কর মহাশয়ের সভাপতিত্বে এই জুলুমের প্রতিবাদ করিয়া কতকগুলি প্রস্তাব গ্রহণ করিয়াছেন । ( আনন্দবাজার, ২১শে আশ্বিন, ১৩৪৪ ) । ঘৃত্ত—এই ব্যবসায় অধিকাংশ অ-বাঙালীর হাতে । বাংলার বাহির হইতে কলিকাতায় বৎসরে ৪৫ কোটি টাকার ঘি আমদানি হয় । ইহার মধ্যে খাটা ঘি খুবই কম। কোন প্রকার ভেজাল না দিয়া খাটী ঘির ব্যবসা করিলে প্রতিমণে ৫।৬ টাকা লাভ হয় । ভেজাল দিলে মণে ১৪১৫ টাকা লাভ হইয়া থাকে। কাৰ্ত্তিক মাস হইতে ফান্ধন মাস পৰ্য্যন্ত ঘৃত-সংগ্রহের প্রশস্ত সময় । ঐ সময়ে ঘির দর সন্ত খাকে এবং ইহা জমিয়া যায়। বড় বড় ব্যবসায়ীরা শীতকালে ঘূত খরিদ করিয়া মজুত রাখিয়া দেয়, এবং সমস্ত বৎসর ধরিয়া বিক্রয় করে । গ্রীষ্ম ও বর্ষাকালে ঘি জমে না। ঘি পাতলা হইলে খরিঙ্গার মনে করে উহা ভেজাল। প্রচুর পরিমাণে মূলধন না থাকিলে ঘির ব্যবসায়ে হাত দেওয়া চলে না। অন্ততঃ লক্ষ টাকা মূলধন হাতে থাকিলে আড়াই হাজার