পাতা:ব্যবসায়ে বাঙালী.djvu/৩৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

২৫ शदनांदग्र शां७tर्णौ সমস্ত জিনিস খরিদ করিয়া বাংলার বাহিরে রপ্তানী করিতেছে। বাণিজ্য-বিষয়ক কোন মাসিক পত্রিকার সাহায্যে যদি ঐ সমস্ত ব্যবসায় সম্বন্ধে জ্ঞাতব্য খবর সাধারণের মধ্যে প্রচার করা হয়, তাহাতে বাঙালীকে ব্যবসামুখী করিতে অনেক সাহায্য হুইবে । শুধু উপদেশে হইবে না বাঙালীকে শুধু ব্যবসায় করিতে উপদেশ দিলে কোন ফল হইবে না-নির্দিষ্ট কার্ধ্যকরী পন্থা দেখাইতে হইবে, কারণ তাহার উপরই সাফল্য নির্ভর করে । মূলধনের অঙ্ক বুঝিয়া ব্যবসায় নির্বাচন করিতে হইবে। অ-বাঙালীর লক্ষ লক্ষ টাকা মূলধন লইয়া যে ব্যবসায় করিতেছে, মাত্র দু’চার হাজার টাকা মূলধন লইয়া তাহাদের সহিত প্রতিযোগীতা করিতে যুক্তি দেওয়া, তাহাদিগকে আত্মহত্যায় প্ররোচিত করারই নামান্তর। পূর্বেই বলিয়াছি প্রকৃত কার্ধ্যকরী পন্থার নির্দেশ দিতে হইবে, নতুবা বৰ্ত্তমান প্রতিযোগিতার দিনে শুধু ব্যবসার নামে মাতিয়া উঠিয়া যাহা তাহা করিলে মূলধন হারাইয়া ধ্বংস হইতে হইবে। আচাৰ্য্য প্রফুল্লচন্দ্র রায় ব্যবসাক্ষেত্রে বাঙালীর শোচনীয় দুর্দশ লক্ষ্য করিয়া আজ চল্লিশ বৎসর সংবাদপত্রে প্রবন্ধ লিখিা, এবং বক্ততায় গলা ভাঙ্গিয়া ফেলিলেন ; তথাপি এ জাতির মধ্যে কোন সাড়া মিলিল না । তিনি বাঙালীকে বহু ব্যবসার সন্ধান দিয়াছেন, কিন্তু বাঙালী কি সে সম্বন্ধে কোনদিন চিন্তা করিয়া দেখিয়াছে । অনেকে বলিয়া থাকেন যে, ডাঃ রায় হাতে কলমে ব্যবসায়ী নহেন, কাজেই তাহার উপদেশের মধ্যে প্রকৃত কাৰ্য্যকরী পন্থার নির্দেশ পাওয়া যায় না । মানিলাম, কিন্তু তিনি যে চিন্তা ও কল্পনার উপর (theoretical ) ছবি অঙ্কিত কলিয়াছেন, ইহাকে বাস্তব মূৰ্ত্তি দিবার মত একটী লোকও এই প্রতিভাখালী জাতির মধ্যে কি মিলিল না ! অনেকে বলেন, বাংলায় টাকা