পাতা:ব্যবসায়ে বাঙালী.djvu/৪৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

véዓት ব্যবসায়ে বাঙালী ছগতির কারণ” সম্বন্ধে আমি আমড়াতলার গুজরাটী, কচ্ছি প্রভৃতি জাতির ব্যবসায়ের কথা যাহা উল্লেখ করিয়াছি, ক্রমে তাহাতেও হস্তক্ষেপ করা অসম্ভব হইবে না। কারণ ঐ সমস্ত ব্যবসায়ীরা যে যে স্থান হইতে মাল আমদানি করিয়া কলিকাতায় বাঙালী ব্যবসায়ীদিগের নিকট বিক্রয় করে, আমাদের কোম্পানীগুলিও যদি সে সকল স্থান হইতে মাল জামদানি করে, তবে বাঙালী ব্যবসায়ীদিগের সহানুভূতি লাভ করা যাইতে পারে। তবে এক সঙ্গে সমস্ত মালের জামদানী করিতে গেলে হয়তো একটা প্রতিযোগিতার সম্মুখীন হইতে হইবে। তজ্জন্ত একবারে এক একটি মালের কাজ আরম্ভ করিয়া ক্রমশঃ অন্যাস্থ্য জিনিস আমদানি করিতে হইবে । বাঙালীকে বাংলার ব্যবসাক্ষেত্রে অধিকার বিস্তার করিতে হইলে ব্যক্তিগত চেষ্টার ও অর্থের উপর নির্ভর করিয়া কোন স্বফল হইবে না। এই জাতীয় লিমিটেড, কোম্পানী গঠন করিয়া চেষ্টা করিতে পারিলেই একমাত্র উহা সম্ভব হইতে পারে। अनूनििन्वतः। বাংলার উৎপন্ন বহু মাল যেমন অ-বাঙালী ব্যবসায়ীরা বাহিরে রপ্তানি করে, তেমনি আবার রেঙ্গুন চাউল, সরিষা, তিসি, কলাই প্রভৃতি বিদেশের উৎপন্ন অনেক মাল উহারা বাংলায় আমদানিও করিয়া থাকে । কলিকাতা এবং মফঃস্বলে অনেক তেলকল আছে। ঐ সমস্ত কলে লক্ষ লক্ষ বস্তা সরিষা প্রয়োজন হয়। ঐ সমস্ত সরিষা সমস্তই অ-বাঙালী ব্যবসায়ীরা পাঞ্জাব, বেহার ও মধ্যপ্রদেশ হইতে আমদানী করিয়া থাকে। যদি আড়তদার কোম্পানী উহা আমদানি করিতে পারেন, তাহা হইলে অবশুই সমস্ত বাঙালী কলওয়ালাদিগের সহানুভূতি পাওয়া ধাইতে পারে। বাংলার বেকার যুবক-সম্প্রদায় এই ব্যবসাটি গ্রহণ করিতে পারেন। ইহার ২৩ জনে সমবেত ভাবে যদি দু’চার হাজার