পাতা:ব্যবসায়ে বাঙালী.djvu/৫৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

আড়তদারী পরিচালন আলোচ্য প্রবন্ধে 'আড়তদারী পরিচালন' সম্বন্ধে দু' চারিটি কথা বলিব । যদি উপযুক্ত পরিচালকের তত্ত্বাবধানে স্বশ্বস্থলভাবে আড়স্তদারী কোম্পানী পরিচালিত হয়, তবে প্রথম বৎসরেই কোম্পানী “শেয়ার-হোল্ডারগণকে আশাতীত ডিভিডেও (Dividend ) দিতে পারিবেন। আমার এ কথা হয়তো অনেকে “আকাশে সৌধ রচনা' মনে করিতে পারেন ; কিন্তু একটু চিন্তা করিয়া দেখিলে বুঝ যাইবে যে, ইহা নিছক কল্পনাই নয়। প্রথমেই বলা যায়, যাহারা শুধু কমিশন লইয়া কাজ করিবে, তাহদের লোকসান হইৰে কি প্রকারে ? তারপর গুদামে ব্যাপারীর মাল মজুত রাখিয়া অগ্রিম টাকা দেওয়ায় কিছুমাত্র ঝুকি (risk ) নাই । ইহাতে ব্যাপারীর মাল আমদানির উপর কোম্পানীর লাভালাভ নির্ভর করে। চিনির কল, কাপড়ের কল খুলিতে হইলে প্রথমটা জমি, গুদাম, মেসিনারী প্রভৃতিতে মূলধনের অৰ্দ্ধেক টাকা ব্যয় হইয়া যায়। কিন্তু আড়তদারী কোম্পানী স্থাপনে মূলধনের সমগ্র টাকা ব্যাঙ্কে মজুত থাকিবে । পরিচালন-ব্যয়ের মধ্যে গোটাকতক গুদামভাড়া, ছ'চার জন কর্মচারীর বেতন ও একটি লোহার আলমারী ছাড়া আর কোন ব্যয় নাই। eष्ञ्छiद्ध-वप्रत्वम्छता। কোম্পানীর উদ্দেশু প্রচারের জন্য কিছুদিন বাংলা সংবাদপত্রে বিজ্ঞাপন দিতে হইবে । মফঃস্বলে সাধারণলোক সকলে সংবাদপত্র পাঠের স্বযোগ পায় না। সেজন্ত কতকগুলি স্থাগুবিল ছাপাইয়া বাংলার সৰ্ব্বত্র বিলি করিলে ভাল হইবে। ব্যাপারী সংগ্রহের জন্ত প্রাথমিক