পাতা:ব্যবসায়ে বাঙালী.djvu/৪২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

બ્ર) ব্যবসায়ে বাঙালী lệe হের-ফের করিতেছেন কেন ?” আড়তদার উত্তর দিলেন “আমরা কোন মাল খরিদ করিয়া রাখি না ; মাল বিক্রয় করিম্ব আমাদের আড়তদারী কমিশন বাদে অবশিষ্ট টাকা ব্যাপারীকে প্রদান করিয়া থাকি।” যাহা হউক, অনেক তর্ক-বিতর্কের পর উক্ত কানাইলাল দাস আড়তদারের প্রস্তাব মানিয়া লইতে বাধ্য হইল। কারণ, আড়তদারের গুদামে একবার মাল উঠিয়া গেলে সেখান হইতে উহা ফেরত লইয়া অন্যত্র বিক্রয় করা চলে না । আড়তদারের সহিত চুক্তি রহিল যে, নারিকেল বিক্রয় হইয়া গেলে প্রতি হাজারে ২২ আড়তদারী ও ॥৩ আনা দান কাটিয়া লইয়া বাকী টাকা কানাইলাল দাসকে দেওয়া হইবে। কানাইলাল দাসের উপস্থিতিতেই একহাজার নারিকেল ৪৫২ টাকায় বিক্ৰী হয়। উহার মধ্যে ২॥০ টাকা আড়তদারী ও দান কাটিয়া লইয়া ৪২০ টাকা কানাইলাল দাসের নামে আড়তদার খাতায় জমা রাখিলেন, এবং অগ্রিম ৬০ টাকা দিয়া তাহার নিকট হইতে একটা রসিদ লইলেন। কানাইলাল দাস উক্ত গচ্ছিত মালের রসিদ চাহিলে, উহা আড়তদার দিতে রাজী হইলেন না । পরে কানাইলাল দাস আমার জনৈক কৰ্ম্মচারীকে সঙ্গে লইয়া আড়তদারের নিকট হইতে অবশিষ্ট টাকা লওয়ার জন্য মুকাবিলা করিয়া দেশে চলিয়া গেল। ২৬৩৩টি নারিকেলের মধ্যে আড়তদার ২৭১টি নিজেদের এবং কৰ্ম্মচারীর দান-খয়রাত বাদে ২৩৬২টি নারিকেল বিক্রয় করিয়া যে ফর্দ দিয়াছিলেন, পরপৃষ্ঠায় তাহার অবিকল নকল দেওয়া হইল। প্রকাশ থাকে যে, নারিকেলের প্রকৃত বিক্রয়-মূল্য হইতে প্রতি হাজারে ২॥• টাকা হিসাবে পূর্বেই কাটিয়া লইয়া ফর্দে টাকা জমা করা হইয়াছে। আড়তদার-প্রদত্ত নিম্নলিখিত ফৰ্দ্দ দৃষ্টে আড়তদার ব্যবসায় সম্বন্ধে সাধারণের একটা অভিজ্ঞতা লাভ হইবে।