পাতা:ব্যবসায়ে বাঙালী.djvu/১৬৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ব্যবসায়ে বাঙালী হইতে পারে, এবং তাঁহাতে মেদিনীপুরের ৫-৬ হাজার লোকের জীবিকা নিৰ্ব্বাহের উপায় হয়। সত্তাক্স জণপানী শিল্প আমদণলী বাজারে সস্তায় জাপানী শিল্প আমদানির ফলে ভারতের বহু কুটারশিল্প ধ্বংস হইয়াছে। জাপানের “কনসাল জেনারেল” ভারতের বড় বড় ব্যবসা-কেন্দ্রে অবস্থান করিয়া ভারতবাসীর নিত্য-ব্যবহার্য্য প্রত্যেক জিনিষটি খরিদ করিয়া জাপানী ব্যবসায়ীদের নিকট প্রেরণ করেন, জাপানী ব্যবসায়ীরা তখন ঐ সমস্ত জিনিষের অনুকরণে সস্তা মাল তৈয়ারী করিয়া ভারতে পাঠায়। ভারতের বহুবিধ শিল্প-ধ্বংসের জন্য একমাত্র জাপানীদেরই দায়ী করিতে হয়। ভারতীয় শিল্প বঁাচাইয়া রাখিতে হইলে বিদেশী জিনিষের উপর অতিরিক্ত হারে শুষ্ক বসাল প্রয়োজন । পৃথিবীর সকল দেশের রাষ্ট্ৰই নূতন নূতন শিল্প-আবিষ্কারের জন্য বৈজ্ঞানিকদিগের পিছনে রাজস্ব তহবিল হইতে বৎসরের পর বৎসর বহু অর্থ ব্যয় করিয়া থাকেন। পরীক্ষামূলক গবেষণা সব সময়েই ফলবতী হয় না, সুতরাং কোন কোন স্থলে এই অর্থ-ব্যয় নিষ্ফলও হইয়া যায় ; কিন্তু তজ্জন্ত কাহাকে কোন কৈফিয়ং পৰ্য্যন্ত দিতে হয় না। আর আমাদের দেশে সমুদয় রাজস্বের অৰ্দ্ধেক টাকা সামরিক ব্যয় ও ভারত সরকার কর্তৃক গৃহীত ঋণের স্বদে চলিয়া যায়। বাকী টাকা পুলিস, গোয়েন ও উচ্চপদস্থ সরকারী কৰ্ম্মচারীদের মোট মাহিনায় ব্যয় করিয়া, দেশের গঠনমূলক কার্য্যের জন্য অতি সামান্ত অংশ রাখিয়া প্রায়ই ঘাটতি বাজেট’ ( Deficit Budget ) দাখিল হয়। কাজেই থিয়েটার, বায়ুস্কোপ এবং তামাকের উপর কর ধার্য্য করিয়া শাসন-ব্যয় নিৰ্ব্বাহ করিতে হয়। দেশের সহস্ৰ সহস্ৰ লোক অন্নাভাবে, জলাভাবে মরিতে