পাতা:ব্যবসায়ে বাঙালী.djvu/১৪৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

১৩৩ ব্যবসায়ে বাঙালী ঘিড়ি, লোড, লিমনেডের দোকান করিয়া যে পেট চালায়, তাহার ^ ভিতরে আত্মনির্ভরশীলতার যে-স্বাধীন মনোবৃত্তিটি বিকশিত হইয়া উঠে, একজন উচ্চপদস্থ সরকারী কর্মচারীর মধ্যেও তাহার বিকাশ দেখা যায় না। স্বাধীনভাবে পরিচালিত নগণ্য কার্ধ্যের ভিতর দিয়াও মানুষের সাহস, উদ্যম, আত্মনির্ভরতা ও নব নব বিষয়-উদ্ভাবনীশক্তির বিকাশ হয়। জগদ্বিখ্যাত জুতা-ব্যবসায়ী মিঃ বাট একজন সামান্ত গ্রাম্য মুচির ছেলে । বাল্যজীবনে তিনি লোকের বাড়ী বাড়ী জুতা বিক্রয় করিয়া বেড়াইতেন। এক্ষণে র্তাহার কারখানায় দৈনিক ১ লক্ষ ৬০ হাজার জোড়া জুতা প্রস্তুত হয় এবং কাজ করে ১৭ হাজার লোক। সম্প্রতি লুঙ্গিতে বাটার যে কারখানা স্বষ্টি হইয়াছে, উহাতে ১৯১৫ টাকার চাকুরীর আশায় প্রত্যহ কত লোক যে দরজায় ধর্ণ দিতেছে, তাহার ইয়ত্তা নাই । ఇత్రాగె== বিভিন্ন প্রদেশ হইতে যে এত অবাঙালীর দল আজ বাংলায় বাজার জাকিয়া বসিয়াছে, খবর লইলে দেখা যায় ইহাদের অধিকাংশেরই সাহস, পরিশ্রম ও স্বাভাবিক ব্যবসা-বুদ্ধি ছাড়া অন্য পুজি নাই ; এই সম্বল লইয়াই তাহারা সমগ্র বাংলা জুড়িয়া ব্যবসায় করিতেছে। এই সকল অ-বাঙালীরা যেমনি কঠোর শ্রমশীল, তেমনি আবার মিতব্যয়ী ও সরল জীবন যাত্রায় অভ্যস্ত। সামান্য ফেরীওয়ালা হইতে ব্যবসায় আরম্ভ করিলেও মূলধন বৃদ্ধি করাই থাকে ইহাদের একমাত্র লক্ষ্য। বাঙালীদের প্রকৃতি-ইহার সম্পূর্ণ বিপরীত। তাহারা এত কষ্ট-সহিষ্ণু নহে। অধিকন্তু তাহারা কোন ব্যবসা আরম্ভ করিয়াই উহা হইতে পরিবারের ভরণ-পোষণের জন্ত মূলধন, কোথাও কোথাও বা মহাজনের টাকা পৰ্যন্ত নষ্ট করিয়া কারবারের সৰ্ব্বনাশ করে। কোন কোন স্থলে