পাতা:ব্যবসায়ে বাঙালী.djvu/২১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ব্যবসায়ে বাঙালীর দুৰ্গতির কারণ বাঙালী সকল বিষয়ে তীক্ষুবুদ্ধিশালী হইলেও ব্যবসাক্ষেত্রে তাহার স্থান সৰ্ব্বনিয়ে। এইজন্য বাংলার ‘চিরস্থায়ী বন্দোবস্ত’কে কতকটা দায়ী করা যায়। চিরস্থায়ী-বন্দোবস্তের ফলে পল্লী-অঞ্চলের লোকের মোটা ভাত মোটা কাপড়ের কোন ভাবনা ছিল না । রিলাস-আড়ম্বর স্থদুর পল্লীতে তখনও এতটা প্রবেশলাভ করে নাই, স্বতরাং কাল্পনিক অভাব-অভিযোগের ফর্দিও ছিল তখন ছোট । ক্ষেতের ধান, পুকুরের মাছ, স্বচ্ছন্দবনজাত তরি-তরকারী,— তখনকার দিনে বাঙালীর সহজ সরল জীবনযাত্রার পক্ষে ঐ ছিল যথেষ্ট । অন্ন-বস্ত্রের চিন্তা না থাকিলে মানুষ স্বভাবতঃই আরামপ্রিয় ও অলস হইয়া পড়ে, চিরস্থায়ী-বন্দোবস্তের ফলে বাংলার গ্রামবাসিগণও ঠিক তাই হইয়া পড়িয়াছিল। চাকুরীর মোহ এমন এক সময় ছিল যখন পল্লী-অঞ্চলের লোক কলিকাতার সংবাদ পৰ্য্যস্ত রাখিত না । পরে রামমোহন রায়, হেয়ার সাহেব প্রভৃতি মনীষিগণ কর্তৃক ‘হিন্দু কলেজ’ স্থাপিত হওয়ার ফলে এদেশে ইংরাজি শিক্ষার প্রচলন আরম্ভ হইল এবং তখন হইতে লোকের ইংরাজি শিক্ষা করিয়া চাকুরীতে ঢুকিয়া পড়িবার দিকে ঝোক বাড়িয়া গেল। রাজ্য শাসনের জন্য সেসময় ইংরাজ গবর্ণমেণ্টের কতকগুলি এদেশীয় কেরাণীর দরকার হইয় পড়ে। এক এক করিয়া যত নূতন নূতন প্রদেশ ইংরাজের আয়ত্তাধীনে আসিতে আরম্ভ হইল, ততই ইংরাজিশিক্ষাপ্রাপ্ত বাঙালীর আদর বাড়িতে লাগিল। ব্রাহ্মণ, কায়স্থ, ৰৈভ