পাতা:ব্যবসায়ে বাঙালী.djvu/১৬২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ব্যবসায়ে বাঙালী S&e মাসে ফসলের সময় কৃষক-সম্প্রদায়ের যখন অবস্থা একটু স্বচ্ছল হয়, তখন তাহাদের বালকদের শিক্ষা দিতে আগ্রহ হইয়া থাকে। কিন্তু আষাঢ়-শ্রাবণ মাসে যখন চাষের ব্যয়ের জন্য তাহদের টাকার অভাব হয়, তখন গুরুমহাশয়ের চাকুরী থাকে না । বর্তমানে গুরুমহাশয়দিগের আর নগদ টাকায় বেতন স্থির হয় না । পল্লীর যত লোকের ছেলে পড়িবে, মাসকাবারে বস্তা ঘাড়ে লইয়া তাহাদের প্রত্যেকের বাড়ী বাড়ী যাইয়া বেতন হিসাবে দুই এক পালি ধান্ত সংগ্ৰহ করিয়া উহার দ্বারা ছাত্র-বেতন ওয়াশীল করিতে হয়। বাংলার পল্লীগ্রামের মধ্যবিস্তু ভদ্র-পদবাচ্য শ্রেণীর এই অবস্থা । এই শ্রেণীর যুবক-সম্প্রদায় দেশে থাকিয় যখন অনাহারে অৰ্দ্ধাহারে অতিষ্ঠ হইয়া ওঠে, তখন আসে কলিকাতায় ; আসিয়া হয় কোন পরিচিত আত্মীয়-স্বজনের কাছে, কিংবা কংগ্রেস-কর্তৃপক্ষদিগের স্বারে স্বারে ধর্ণ দেয়। কিন্তু এত বেকারের চাকুরী দিবার ক্ষমতা তাহাদের কোথায় ? আমরা যদি এই সমস্ত লোককে ব্যবসা করিতে উপদেশ দিই, সে কি আমাদের বাতুলত নয় ? যাহাদের দৈনিক হোটেলের খোরাকীর সংস্থান নাই, ব্যবসায় করিবার তাহদের পুজি কোথায় ? বাংলার প্রত্যেক পল্লীতে এই শ্রেণীর লোকসংখ্যাই বারো আনা । আমার এসব গল্প নয়, ইহা পল্লীগ্রামের একেবারে নিখুত আলেখ্য। কুটির-শিল্পি-সম্প্রদান্ন কৰ্ম্মকার, কুম্ভকার, তাতি, তেলি প্রভৃতি এই শ্রেণীর লোক। ইহাদের কুটর-শিল্প প্রায় একেবারেই ধ্বংস হইয়াছে। ইহা অামি বাংলায় বেকার-সংখ্যা বৃদ্ধির কারণ প্রবন্ধে উল্লেখ করিয়াছি। এই শ্রেণীর লোকেরা কেহ ভাড়ায় গরুর গাড়ী চালায়, কেহ দুধ বিক্রয় করে, কেহ হাটে-বাজারে রেঙ্গুন বা কলের চাউল