পাতা:ব্যবসায়ে বাঙালী.djvu/২০৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ধসায়ে तांष्ठांकौ SS8 ੀ ਹੈ অসার থাকে। কারণ মাড়োয়ারীরা যে সমস্ত জঙ্গলের কাঠ’ খরিদ কণ্ঠ, উই ভাল নহে। তজ্জন্য ইংলিশ মার্ক কাঠের দরে আর মাড়োয়ারীদের কাঠের দরে টন প্রতি প্রায় ৩-৪০২ টাকা তফাৎ থাকে। পূৰ্ব্বে কাঠের ব্যবসা সকলের পক্ষেই বিশেষ লাভের ছিল। এক্ষণে এ ব্যবসা খারাপ হইয়া গিয়াছে। তথাপি যাহারা রেঙ্গুন হইতে মাল আমদানী করে, তাহারা এখনও ইহাতে যাহা লাভ করে, বাঙ্গালী কাঠগোলা-বাবসায়ীরা তাহার এক ভগ্নাংশ ও করিতে পারে না। বাঙ্গালীর পক্ষে এ ব্যবসা এখন কাটা-কাপড়ের ব্যবসার মত হইয়। দাড়াইয়াছে। কারণ ইংরাজ কোম্পানী কিম্বা মাড়োয়ারীর মধ্যে যাহার কাঠ আমদানী করে, তাহারা লটু হিসাবে বিক্রয় করিয়া প্রতি টনে ৩০৪০২ লাভ করিয়া থাকে । আর বাঙ্গালী কাঠগোল-ব্যবসায়ীরা উহ্য টুকরা করিয়া দরজা, জানালা, ফার্ণিচার প্রস্তুত করে। মাড়োয়ারীরা কাপড়ের গাঁটি আমদানী করিয়া থান বিক্রয় করে, অfর বাঙ্গালীর সেই থান কাটিয়া দরজির দ্বারা জামা তৈয়ারী করিয়া কাটা কাপড়ের দোকান চালায়। কাঠের ও কাটা কাপড়ের ব্যবসা উভয়ই এক প্রকার । ইহার কোনটাতে 'ষ্টক’ ঠিক রাখা চলে না । কাঠের ব্যবসায়ে পূৰ্ব্বে যে প্রকার লাভ ছিল, এখন তাহার কিছুই নাই । প্রতিযোগিতার চাপে পড়িয়া খরিদারদের কেবল ধার দিতে হয় । কেহ গৃহাদি নিৰ্ম্মাণের জন্য মিউনিসিপ্যাল অফিসে প্ল্যান পাশ করিতে দিলে, কাঠগোলা-ব্যবসায়ীরা তাহার সংবাদ লইয়া উহার অর্ডার সংগ্ৰহ করিতে পূৰ্ব্ব হইতেই মালিকের বাড়ী ছুটাছুটি করিয়া থাকে। খোসামোদ করিয়া কাজ লইতে হইলে তাহাতে একদিকে যেমন ধার দিতে হয়, অপরদিকে তেমনি তাহাতে লাভও থাকে কম। কাঠের ব্যবসায়ে ইংরাজ কোম্পানী ও মাড়োয়ারীরা যেন তণ্ডুল, ভোগ করিতেছে, আর বাঙালীরা যেন তাহার তুষ নিয়া কাড়াকড়ি করিতেছে।"