পাতা:ব্যবসায়ে বাঙালী.djvu/১৫৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ব্যবসায়ে বাঙালী S88 প্রোসেসন পল্লীগ্রামে অনেক জমিদার-বাড়ীর ক্রিয়াকাণ্ডেও দেখা যায় না। কাজেই এই চাকৃচিক্যময়ী কলিকাতা-নগরীর অবস্থা দেখিয়া বাংলার অবস্থা নির্ণয় করা যায় না। কবির ছন্দেও এই কথাই ফুটিয়া উঠিয়াছে— “পর দীপমালা নগরে নগরে । তুমি যে তিমিরে, সে তিমিরে ” বাংলার ধারা বড় বড় জমিদার তাহারা সকলেই কলিকাতাবাসী। দেশের নায়েব-গোমস্তার উপর কড়া হুকুম চালাইয়া কলিকাতায় টাকা আনিয়া তাহারা সহরের আরাম-বিলাস উপভোগ করিয়া থাকেন। ওদিকে কৰ্ম্মচারীরা জমিদারের হুকুম তামিল করিতে দুর্দশাগ্রস্ত প্রজার রক্ত শোষণ করিতেছেন। আজ যদি আমাদের এই সব জমিদারশ্রেণী দেশে বাস করিয়া কলিকাতার আরাম-বিলাসে ব্যয়িত টাকাটা দেশের মধ্যে ব্যয় করিতেন, তাহা হইলে পল্লীর স্বাস্থ্য, পথঘাট প্রভৃতির সংস্কার হইয় তাহার শ্ৰী ফিরিয়া যাইত। প্রজারাও ইহাতে যথেষ্ট উপকৃত হইত। মধ্যবিত্ত ক্ত সুকলণর গাভিদণর এই সম্প্রদায়ের হয়তো কলিকাতাবাসী হইয়া আরাম-বিলাস উপভোগের মত আর নাই। তজ্জন্ত ই হারা দেশে থাকিয়া নিজ নিজ স্বার্থ লইয়া স্বরিকগণের সহিত পরস্পর বিবাদ-বিসম্বাদ, হিংসায় ব্যস্ত আছেন। যৌথ-সম্পত্তি পরিচালনে ইহাদের পরস্পরের মতের মিল নাই। witty' off (common interest) of oxford বুদ্ধির অভাব । তজন্ত উক্ত পরিবারের কেহ কেহ দুঃখ করিয়া বলিয়া থাকেন, ‘পূৰ্ব্ব জন্মের বহু পাপ না থাকিলে, কেহ বহু স্বরিকের বাড়ীতে জন্মগ্রহণ করে না। যৌথ-সম্পত্তির স্বরিকগণের মধ্যে যদি কেহ সংপরামর্শ দিতে যায়, অপরাপর স্বরিকগণ মনে করে, এ লোকটর নিশ্চয়ই ইহাতে