পাতা:ব্যবসায়ে বাঙালী.djvu/১১২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ব্যবসায়ে বাঙালী } ее একজন পৈতৃক সম্পত্তি ভোগ করিতেছে, এরূপ দৃষ্টান্ত তো সচরাচরই . দেখিতে পাওয়া যায়। আবার অনেক যৌথ-কারবারে পরম্পর পরস্পরকে ফাকি দেওয়ার মতলবে এমন মামলা-মোকদ্ধমার জাল স্বষ্টি হইয়া যায়, যে কারবারের মূলধন, এমন কি শেষে অংশীদারদের ভিটামাটি পৰ্য্যন্ত বিক্রয় হইয়া সকলেই পথে দাড়ায়। এই সমস্ত কারণে অংশীদারের সংখ্যা বেশী হইলে প্রাইভেট লিমিটেড কোং গঠনে কারবার পরিচালন করাই অনেকটা নিরাপদ । এরূপ ক্ষেত্রে অংশীদারগণের পরম্পরের এমন মনোভাব দেখা যায় যে, নিজে ধ্বংস হইব সেও ভাল, তবু অন্ত কাহাকে ভোগ করিতে দিব না । উপায়-নির্দেশ অংশীদারগণের মধ্যে কোন প্রকার মতদ্বৈধ ঘটিলে, কিংবা র্তাহাদের কাহারও কার্য্যে অপর কাহারও কোন প্রকার সন্দেহের কারণ থাকিলে, পরস্পর খোলাখুলি আলোচনায় উহার মীমাংসা করিয়া লওয়া উচিত। তাহা না করিয়া মনের মধ্যে সন্দেহ ভাব পোষণ করিয়া রাখিলে, পরস্পরের প্রতি অনাস্থা আসিয়া পড়ে। আর অনাস্থা জন্সিয়া গেলে সাধারণতঃই ব্যবসায়ের উপব অংশীদারগণের মমতা-বোধও কমিয়া যায়। ফলে অচিরেই ভাঙ্গাভাঙ্গির লক্ষণ প্রকাশ পাইতে থাকে। কারবার-সংক্রান্ত কোন গৃঢ় আলোচনা সাধারণ কর্মচারীদের সাক্ষাতে না হওয়াই উচিত। খুব বিশ্বস্ত কৰ্ম্মচারী হইলে আলাদা কথা, নতুবা অংশীদারগণের পরিকল্পনা ও কারবার-পরিচালন-সংক্রান্ত নীতি , কোন কৰ্ম্মচারীকে জানিতে দেওয়া ভাল নয়। ফেকারণেই হউক অংশীদারগণের মধ্যে মতদ্বৈধ হইলে তাহা নিজেদের ছাড়া অন্ত কোন লোকের সাক্ষাতে আলোচনা করা উচিত নয়, তাহাতে কারবারের