পাতা:ব্যবসায়ে বাঙালী.djvu/১৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ব্যবসায়ে বাঙালী . 8 অভ্যাসে দাড়াইয়াছে। কিন্তু চাকুরীই বা কোথায় ? চাকুরী পাওয়ার অতীতে যে সুযোগ-সুবিধা ছিল, বর্তমানে আর তাহা আছে কি ? न्वग्नन्वन्नांटन्न न्विच् ष्ञांडे অবশ্ব ব্যবসায় করিতে গেলে অনেকটা ঝঙ্কাট ও দুশ্চিন্তা আছে। আত্মশক্তিতে বিশ্বাস-পরায়ণ ও কষ্টসহিষ্ণু না হইলে ব্যবসায়ে সাফল্য লাভ শক্ত । চাকুরী করিবার ফলে বাঙালী ঐ আত্মশক্তিটিতে বিশ্বাস হারাইয়াছে। ঝঞ্চাট ও অনিশ্চয়তার মধ্যে যাইতেই তাহার প্রাণ র্কাপিয়া উঠে ! ব্যবসা করিয়া লাভ হইবে, কি লোকসান হইবে, এই চিন্তাই বাংলার নন্দদুলালদের কাবু করিয়া ফেলে। কিন্তু এই কথাটা একবারও তাহারা ভাবিয়া দেখেন না যে, কোন প্রকার দায়িত্ব ঘাড়ে লইয়া কাজ না করা পৰ্য্যন্ত কখনই দায়িত্ব-জ্ঞান জন্মে না। সাতার না শিখিয়া জলে নামিব না, আর কাজে ওস্তাদ না হইয়া কাজ করিব না, দুই এক কথা । এ দু’টি কথাই অর্থহীন। সাতার শিখিতে হইলে যেমন দুই একবার ডুবিতে হয়, ব্যবসায় করিতে বসিয়াও তেমনি অনভিজ্ঞতার জন্য এক আধবার ক্ষতিগ্রস্ত হইতে হয়। কিন্তু এই ক্ষতিটুকুকে আশ্রয় করিয়া যে অভিজ্ঞতা লাভ হয়, তাহার মূল্য অতুলনীয়। একটা ব্যক্তিগত উদাহরণ দিই। ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা ব্যবসায় শিক্ষার জন্য আমি প্রথম জীবনে মাত্র দশ টাকা মাহিনায় চাকুরী আরম্ভ করি। পরে জনৈক অংশীদার সংগ্ৰহ করিয়া নিজে ব্যবসা ফাদিয়া বসিলাম। প্রথম বংসরে লোকসান হয় অনেক টাকা। মূলধনে আমার নিজের একটি পয়সাও ছিল না। লোকসান হওয়ায় আমার মূলধনের অংশীদারতো দমিয়া গেলেন—এমন কি, তিনি ব্যবসা ছাড়িয়া দেওয়ারই সঙ্কল্প করেন। আমি অনেক প্রকারে