ব্যবসায়ে বাঙালী as পেটের ভাতের সংস্থান হয় না, পরনের কাপড় জুটে না—শুধু কেৰল «first for «fsntatt" (false sense of prestige) est হয় ; যে শিক্ষায় কোন নিম্নস্তরের কাজ করিতে আত্মসম্মানে আঘাত লাগে, শ্রমের মর্য্যাদাকে উচ্চ আসন দেয় না, সে শিক্ষা আমি কিছুতেই বাঞ্ছনীয় মনে করিতে পারিনা। জীব-জন্তু, পশু-পক্ষী যাহাদের কোন বিশ্ববিদ্যালয় নাই, তাহারাও নিজ নিজ আহার নিজেরা যোগাড় করিয়া থাকে। আর বিদ্য, বুদ্ধি ও প্রতিভায় শ্রেষ্ঠ বাঙালী শুধু উদরান্ন সংস্থানের জন্য পরমুখাপেক্ষী। এদিকে আমাদের জীবনযাত্রায় আড়ম্বর বাড়িতেছে, অন্যদিকে অর্থাগমের পথ রুদ্ধ হইতেছে। ইহাতে বাঙালীর অস্তিত্ব লোপ পাইতে আর বিলম্ব কি ! প্রাতে শয্যাত্যাগ করিয়াই আমাদের চা চাই ; অনেকের আবার প্রায় সমস্ত দিনই ইহা চলে। তৎপরে সিগারেটু, ম্যাচ, টুথ পাউডার, ব্রাশ, সেফট রজাস, পোষাক-পরিচ্ছদ, আরও কত কি ! কিন্তু জীবনযাত্রার এই সব সরঞ্জামের মধ্যে কোনটা আমাদের দেশে আমাদের নিজেদের কারখানায় প্রস্তুত ? আমরা দেশে টাকা স্বাক্ট করিতে জানি না, অথচ বিদেশীর অন্ধ অকুকরণে জীবনযাত্রা নিৰ্বাহ করিতে গিয়া সৰ্ব্বপ্রকারে বিভিন্ন স্থানে টাকা প্রেরণ করিতেছি। আমাদের মধ্যে যাহারা শিক্ষিত উকিল, ব্যারিষ্টার, এটর্ণি, তাহারা আমাদের দেশের ধনী ও সম্পত্তিশালী লোকের টাকা ভাগবাটোয়ারা করিয়া নিজেরা অর্থশালী হইয়া বিলাস-বাসনে জীবনযাপন করেন। যে মোটরগাড়ী চড়িয়া আমরা বিলাসিভায় জীবনযাপন করি, তাহার সম্পূর্ণ টাকাই আমাদের বিদেশে চলিয়া যায়। যে পোষাক-পরিচ্ছদে আমরা বাৰুগিরি করি, তাহার চৌঙ্গ আনাই যায় বিদেশে ; দু’জানা যাহা থাকে তাও অবাঙালীরা পায়। বাঙালী প্রতিনিয়ত ইহা চোখের উপর ', দেখিতেছে, তবু তাহারা অন্ধ হইয়াই আছে। "