পাতা:রাজমালা - ভূপেন্দ্রচন্দ্র চক্রবর্ত্তী.pdf/১৬৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটিকে বৈধকরণ করা হয়েছে। পাতাটিতে কোনো প্রকার ভুল পেলে তা ঠিক করুন বা জানান।
রাজমালা
 
১৩৬
 

যশোধরমাণিক্য ও
জাহাঙ্গীর

বিষ্ণুমন্দির গোমতীনদীর তীরে। সেই নিভৃত স্থানে মহারাজের সকাল সন্ধ্যা কাটিতে লাগিল। একদিন হরিনামে বিভোর হইয়া মন্দির প্রদক্ষিণ করিতেছিলেন, ভাবাবেশে কখন যে গোমতী নদীতে পড়িলেন জানিতে পারিলেন না। এই ভাবে বিষ্ণুভক্ত রাজার মৃত্যু ঘটিল, রাজ্যময় সে শোকসংবাদ ছড়াইয়া পড়িল। মহারাজ রাজধরের পুত্র যশোধর পাত্রমিত্র মন্ত্রী সভাসদ্ ও ব্রাহ্মণ পুরোহিত সহ নদীতীরে ছুটিয়া গেলেন। বৈকুণ্ঠাখ্য রাজ-শ্মশানে দাহ-কার্য্য সম্পন্ন হইল।

(২)

যশোধরমাণিক্য ও জাহাঙ্গীর

 ১৬১৩ খৃষ্টাব্দে রাজধরের পুত্র যশোধর সিংহাসনে অধিষ্ঠিত হন। যশোধর মঘরাজের বিক্রম জানিয়া তাঁহার সহিত মৈত্রী স্থাপন করেন, ইহাতে রাজ্যে মঘভীতি দূর হইয়া যায়। ইহার পর ভুলুয়া বিদ্রোহী হয় কিন্তু যশোধরমাণিক্যের প্রবল আক্রমণে ভুলুয়া পুনঃ পদানত হইয়া পড়ে।

 যশোধরমাণিক্য দিল্লীর বাদশাহ জাহাঙ্গীরের সমসাময়িক। গৌড়েশ্বর হস্তীর লোভে ত্রিপুরা আক্রমণ করিয়া ব্যর্থকাম হইয়াছিলেন, এ সংবাদ বাদশাহের কানে উঠে। ত্রিপুরা রাজ্য আক্রমণে অগণিত হস্তিবল দ্বারা মোগল সৈন্য সমৃদ্ধ হইবে এই ভরসায় জাহাঙ্গীর সুদূর ত্রিপুরায় অভিযান প্রেরণ করেন।