পাতা:রাজমালা - ভূপেন্দ্রচন্দ্র চক্রবর্ত্তী.pdf/১৯২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটিকে বৈধকরণ করা হয়েছে। পাতাটিতে কোনো প্রকার ভুল পেলে তা ঠিক করুন বা জানান।
রাজমালা
১৬৪

গোবিন্দমাণিক্যের নিকট
আওরঙ্গজেবের পত্র

রাজপদে অধিষ্ঠিত হইলেন তখন ছত্রমাণিক্য-তনয় কুমার উৎসব রায় উদয়পুর ত্যাগ করিয়া ঢাকা চলিয়া যান। উদার হৃদয় গোবিন্দমাণিক্য ভ্রাতুষ্পুত্রের সুখ স্বাচ্ছন্দ্যের জন্য উৎসব রায়কে কাদবা, বেদারা ও আমিনাবাদ এই তিন পরগণা দান করেন।

 বর্ত্তমানেও নক্ষত্ররায়ের বংশ ঢাকায় দেখিতে পাওয়া যায়। নক্ষত্ররায়ের ধারাভুক্ত স্বনামপ্রসিদ্ধ শ্রীযুক্ত প্রতাপচন্দ্র রায় মহাশয়ের উল্লেখ এস্থলে অপ্রাসঙ্গিক হইবে না। ইনি কিছুকাল পূর্ব্বেও শাসন-পরিষদের মেম্বররূপে পোর্টফলিও অনুযায়ী রাজ্য পরিচালনায় সুনাম অর্জ্জন করেন।

(৮)

গোবিন্দমাণিক্যের নিকট আওরঙ্গজেবের পত্র

 গোবিন্দমাণিক্য সিংহাসনে প্রতিষ্ঠিত হইবার সঙ্গে সঙ্গেই সুজাকে বন্দী করিয়া লইবার জন্য দিল্লীর দরবার হইতে নানা তদ্বির আসিতে লাগিল। ভাগ্যহীন সুজা যদি সে রাত্রে পলায়নে সক্ষম হইয়া থাকেন তবে পলায়মান অবস্থায় তাঁহার জীবন কিরূপ দুর্ব্বহ হইয়াছিল তাহা নিম্নোক্ত পত্র হইতে অনায়াসেই অনুমিত হইবে, কারণ দারার ছিন্নমুণ্ডের ন্যায় তাঁহার ছিন্নমুণ্ডের জন্য শাণিত তরবারি লইয়া দিকে দিকে লোক ছুটিয়াছিল। মহারাজ গোবিন্দমাণিক্য দিল্লীর বাদসাহ