পাতা:রাজমালা - ভূপেন্দ্রচন্দ্র চক্রবর্ত্তী.pdf/১৮০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটিকে বৈধকরণ করা হয়েছে। পাতাটিতে কোনো প্রকার ভুল পেলে তা ঠিক করুন বা জানান।
রাজমালা
 


গোবিন্দমাণিক্য ও
নক্ষত্র রায়



(৫)

গোবিন্দমাণিক্য ও নক্ষত্র রায়

 ১৬৬০ খৃষ্টাব্দে

পিতৃসিংহাসন আরোহণ করেন। কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ গোবিন্দমাণিক্যের আখ্যানভাগ অবলম্বনে ‘রাজর্ষি’ ও ‘বিসর্জ্জন’ রচনা করেন। কবির অমর লেখনী দ্বারা গোবিন্দমাণিক্যের নাম বঙ্গভাষায় চিরস্মরণীয় হইয়া রহিয়াছে। মহাকবির রচনা দ্বারা ইতিহাসের বিশেষ বিশেষ ব্যক্তি এরূপ গৌরবের আসনে প্রতিষ্ঠিত হন যে তাঁহাদের অপেক্ষা শৌর্য্যে বীর্য্যে ইতিহাসে উচ্চস্তরের বীর থাকিলেও, সেই সকল বীর ইতিহাসের পাতায়ই নিবদ্ধ থাকিয়া যান, তাঁহাদের নাম সাহিত্যজগতে আসে না। ইতালীর অমর কবি দান্তে তদীয় বন্ধু কেসেলাকে যে অমর আসন দান করিয়া গিয়াছেন, তাহা ইতালীয় বহু বীরের ভাগ্যে ঘটে নাই। রবীন্দ্রনাথও তেমনি গোবিন্দমাণিক্যকে বাঙ্গালী জাতির মনে প্রতিষ্ঠিত করিয়াছেন, শৌর্য্যে বীর্য্যে ত্রিপুর সিংহাসনে তাঁহা অপেক্ষা গরীয়ান্ রাজা বসিলেও তাঁহাদের নাম ইতিহাসের স্বর্ণাক্ষরে মুদ্রিত রহিয়াছে, কিন্তু সাহিত্যের বাতায়নে তাঁহারা সম্পূর্ণ অপরিচিত।

 গোবিন্দমাণিক্যের অভিষেক কার্য্য মহাসমারোহে সম্পন্ন হইল। মোগল সমরে যাঁহার বলবীর্য্যের পরীক্ষা হইয়াছিল