পাতা:রাজমালা - ভূপেন্দ্রচন্দ্র চক্রবর্ত্তী.pdf/৪২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটিকে বৈধকরণ করা হয়েছে। পাতাটিতে কোনো প্রকার ভুল পেলে তা ঠিক করুন বা জানান।



রাজমালা
 
১৪
 

ত্রিপুরের মৃত্যু ও চতুর্দ্দশ
দেবতার প্রকাশ

দেখিল না—অনার্য্য কিরাত-সঙ্গ করিয়া কুকর্ম্মে রত হইয়া পড়িল। বেদ বেদান্ত পাঠ শুনিতে পাইল না, দান ধর্ম্ম কিছুই বুঝিল না, ব্রাহ্মণের পূজাপার্ব্বণ জানিতে পারিল না; কিরাত দেশে কিরাত আচারে ত্রিপুর নিজ বংশ-মর্য্যাদা ভুলিয়া গেল! এইরূপ দুঃখে মহারাজ দৈত্যের রাজত্ব সুখ ভাল লাগিল না। কি ভাবে হরিপদ পাইবেন এই চিন্তায় বনে চলিয়া গেলেন। বনে যোগাসনে বসিয়া তিনি হরি চিন্তায় মগ্ন থাকিতেন, এই ভাবে তাঁহার মৃত্যু হইল। এদিকে ত্রিপুর কিরাত-পতি হইলেন।


(৫)
ত্রিশূলাঘাতে ত্রিপুরের মৃত্যু ও চতুর্দ্দশ
দেবতার প্রকাশ

 ত্রিপুর রাজা হইয়া গর্ব্বে দেশ জয় আরম্ভ করেন—একে ত দুর্দ্দান্ত প্রকৃতি তাতে আবার বীর যোদ্ধা, তাঁহার নিকট অনেক রাজাই হারিতে লাগিল। পার্ব্বত্য বহু রাজা তাঁহার বশ মানিল। এইরূপ প্রভুত্ব পাইয়া ত্রিপুরের অত্যাচার ক্রমেই দুঃসহ হইল। প্রজারা শিবের আরাধনা করিতে লাগিল—‘হে মহাদেব, রাজার পীড়ন হইতে আমাদিগকে রক্ষা কর।’ শিবের দয়া হইল। একদা ত্রিপুরের রাজ্যে শিব আবির্ভূত হইলেন, আসিয়া দেখেন ত্রিপুর অতি দুরাচার, ঈশ্বর মানে না। শিব তখন