পাতা:রাজমালা - ভূপেন্দ্রচন্দ্র চক্রবর্ত্তী.pdf/২৭৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটিকে বৈধকরণ করা হয়েছে। পাতাটিতে কোনো প্রকার ভুল পেলে তা ঠিক করুন বা জানান।
রাজমালা
২৪৪
রাজর্ষি রাধাকিশোর

দ্বারা তিনি বঙ্গদেশে দার্শনিক সমাজে সুপরিচিত হইয়াছেন। দীনেশচন্দ্রের ‘বঙ্গভাষা ও সাহিত্য’ মহারাজের সাহায্যেই প্রকাশিত হইয়া বঙ্গসাহিত্যের একটি অভাব পূর্ণ করিতে পারিয়াছিল। ১৮৯৬ খৃষ্টাব্দে (১৩০৬ ত্রিপুরাব্দে) কলিকাতা মহানগরীতে মহারাজ পরলোকগমন করেন।

(৯)

রাজর্ষি রাধাকিশোর

 ১৮৯৭ খৃষ্টাব্দে (১৩০৭ ত্রিপুরাব্দে) মহারাজ রাধাকিশোর মাণিক্য সিংহাসন আরোহণ করেন। তিনি পিতার উপযুক্ত পুত্র ছিলেন। প্রায় ৪০ বৎসর বয়ঃক্রম কালে তিনি রাজক্ষমতা প্রাপ্ত হন। আগরতলার বর্ত্তমান রূপ অনেকটা তাঁহারি হাতে গড়া। উজ্জয়ন্ত প্রাসাদ নির্ম্মাণ দ্বারা যথার্থ রাজপুরীর প্রাণপ্রতিষ্ঠা হইয়াছে নিঃসন্দেহে বলা যায়; ইহা বহুকালের অভাব দূর করিয়াছে। শ্রীশ্রীজগন্নাথ মন্দির, ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়াল, উমাকান্ত একাডেমী প্রভৃতি সুশোভন ইমারতে রাজধানী শোভিত করিয়াছেন। মাত্র বার বৎসর রাজত্বের পরমায়ু লইয়া তিনি যে বিচিত্র গঠন কার্য্যের পরিচয় নিয়াছেন, তাহা দেখিলে স্বতঃই মনে হয় তাঁহার অকাল মৃত্যু রাজত্বের কত বড় দুর্ভাগ্যের পরিচায়ক। জাতির বহু পুণ্য ফলে এরূপ রাজার আবির্ভাব ঘটে। একটি দেশীয় রাজ্যের বাতায়নে বসিয়া তাঁহার মন