পাতা:রাজমালা - ভূপেন্দ্রচন্দ্র চক্রবর্ত্তী.pdf/৯৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটিকে বৈধকরণ করা হয়েছে। পাতাটিতে কোনো প্রকার ভুল পেলে তা ঠিক করুন বা জানান।
রাজমালা
৬৮
ধন্যমাণিক্যের শাপমোচন

মঘরাজ ত্রিপুর রাজের নিকট আশ্রয় ভিক্ষা করেন। প্রবল পরাক্রম ধর্ম্মমাণিক্যের শক্তিতে মঘরাজ পুনরায় নিজ রাজ্য ফিরিয়া পাইলেন। ব্রহ্মরাজের এই ন্যূনতা ত্রিপুর ইতিহাসের পক্ষে কম গৌরবের বিষয় নহে।

 গীতায় ভগবান্ শ্রীকৃষ্ণ বলিয়াছেন যোগভ্রষ্ট কখনো কখনো উত্তম ঘরে জন্মায়। ধর্ম্মমাণিক্য যোগভ্রষ্ট পুরুষ তাহাতে সন্দেহ নাই। তাঁহার রাজত্বের অক্ষয় কীর্ত্তি রাজমালা বিরচন। তিনি পিতৃপুরুষদিগের ধারাবাহিক ইতিহাস বাণেশ্বরশুক্রেশ্বর নামক পুরোহিত দ্বয়ের দ্বারা কবিতায় রচনা করান।[১] এই গ্রন্থ বাঙ্গালা ভাষার অমূল্য সম্পদ। খ্রীষ্টীয় পঞ্চদশ শতাব্দীর প্রারম্ভে এই গ্রন্থ লেখা হয়। ৩২ বৎসর রাজত্ব করার পর তিনি স্বর্গে গমন করেন। ধর্ম্মমাণিক্যের রাজত্বকাল ১৪৩০ হইতে ১৪৬২ খ্রীষ্টাব্দ ধরা যাইতে পারে।

(৭)

ধন্যমাণিক্যের শাপমোচন

 ধর্ম্মমাণিক্যের দুই পুত্র ধন্য ও প্রতাপ। ধর্ম্মমাণিক্যের মৃত্যু হইলে সেনাপতিগণ চক্রান্ত করিয়া কনিষ্ঠ প্রতাপকেই সিংহাসনে বসাইয়া দিল, জ্যেষ্ঠ ধন্য পলাইয়া কোনও রূপে জীনব রক্ষা

  1. বাণেশ্বরশুক্রেশ্বর শ্রীহট্ট জেলার অন্তর্গত ঢাকা দক্ষিণ পরগণার ঠাকুরবাড়ী গ্রামনিবাসী, ইহারা ব্রাহ্মণ, উপাধি চক্রবর্ত্তী।