পাতা:১৯০৫ সালে বাংলা.pdf/৬৩

উইকিসংকলন থেকে
পরিভ্রমণে চলুন অনুসন্ধানে চলুন
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
[৫১]

বিপিনচন্দ্র পাল, পণ্ডিত গীষ্পতি কাব্যতীর্থ, ডাক্তার আবদুল গফুর প্রভৃতি অনেকে স্বদেশী দ্রব্য ব্যবহার সম্বন্ধে বক্তৃতা করেন। স্বদেশ-সেবক সম্প্রদায় এই সভাতেও জাতীয় সঙ্গীত গান করিয়াছিল।

মুসলমান সমাজের সম্মান প্রকাশ।

 ৪ঠা ফাল্গুন শুক্রবার লাঞ্ছিত স্বদেশভক্তদিগের অভ্যর্থনা করিবার জন্য মুসলমান সমাজের কয়েকজন নেতা এলবার্ট হলে একটী সভার অধিবেশন করিয়াছিলেন। ঐ দিন আকাশ মেঘাচ্ছন্ন হইয়াছিল এবং ক্রমাগত বৃষ্টিপাত হইতেছিল। এরূপ দুর্য্যোগ সত্ত্বেও সভার কার্য্য নির্ব্বেঘ্নে সুসম্পন্ন হইয়াছিল; সভায় অনুষ্ঠানকারীরা লাঞ্ছিতদিগের প্রতি যথোচিত আদর ও সম্মান প্রকাশ করিয়াছিলেন এবং আতর পুষ্পমাল্য ও পুষ্পগুচ্ছ প্রদান পূর্ব্বক তাহাদিগের প্রতি বৰ্দ্ধন করিয়াছিলেন। মৌলবী লিয়াফৎ হোসেন, মুন্সী দেদারবক্স এবং ডাক্তার আবদুল গফুর প্রভৃতি এই স্বদেশ-সেবকদিগকে প্রীতিপূর্ণ-হৃদয়ে আলিঙ্গন করেন। দুর্য্যোগবশতঃ সেদিন লাঞ্ছিতদিগের সকলে সভাস্থলে উপস্থিত হইতে পারেন নাই। লাঞ্ছিতদিগের মধ্যে বাবু ধীরেন্দ্রনাথ সিংহ, বাবু স্বরেন্দ্রনাথ সিংহ, বাবু ভূতনাথ ভট্টাচার্য্য ও বাবু নগেন্দ্রনাথ গুহ রায় এই কয়েক ব্যক্তি সভায় উপস্থিত হইয়াছিলেন।

 সিটি কলেজের সঙ্গীত শিক্ষক বাবু হেমচন্দ্র সেন দ্বারা কতিপয় জাতীয় সঙ্গীত গীত হইবার পর সভার কার্য্য আরব্ধ হয়।