পাতা:১৯০৫ সালে বাংলা.pdf/১২৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।

[ ১১১ ]

প্রকাশ করায় সভাপতি মহাশয়কে একটি চৌকির উপর উঠাইয়া সকলকে প্রদর্শিত করা হয়। তাঁহার সৌম্যমূর্ত্তি দর্শন করিয়া সকলে উৎসাহ বিহ্বল চিত্তে সমস্বরে আল্লা হো আকবর ও ‘বন্দেমাতরম্” ধ্বনিতে দিঙ্মণ্ডল পূর্ণ করেন। মৌলবী আবুল হোসেন ও শ্রীযুক্ত গীষ্পতি রায় চৌধুরী মহাশয়েরা বক্তৃতা করিলে সুরেন্দ্রনাথের জয়ধ্বনি সহকারে সভাভঙ্গ হয়।

রহমৎপুরে সভা।

 সেই দিনেই অর্থাৎ সোমবার রহমৎপুরে একটি সভা হইয়াছিল। রহমৎপুর বরিশালের ৮ মাইল দূরে অবস্থিত একটি গণ্ড গ্রাম। সেখানকার চক্রবর্ত্তী জমিদারগণের যত্নেই এই সভার অধিবেশন হয়। নদীর তীরবর্ত্তী একটি সুরম্য স্থানে সভার অধিবেশন হইয়াছিল। বিবিধ বর্ণের পতাকা ও অন্যান্য উপকরণে সভাস্থল ইন্দ্রপুরীর ন্যায় সুন্দর করিয়া সজ্জিত করা হইয়াছিল।

 শ্রীযুক্ত সুরেন্দ্রনাথ বন্দোপাধ্যায়, কালীপ্রসন্ন কাব্যবিশারদ, গীষ্পতি কাব্যতীর্থ (রায় চৌধুরী) মৌলবী আবুল হোসেন, বাবু কৃষ্ণকুমার মিত্র, প্রভৃতি মহাশয়েরা স্বদেশী গ্রহণ ও বিলাতী দ্রব্য বর্জ্জন ও পুলিশের অত্যাচার সম্বন্ধে অতীব আবেগময়ী ভাষায় বক্তৃতা করেন। স্বদেশ সেবক সম্প্রদায় জাতীয় সঙ্গীতে সকলকে মুগ্ধ করেন। পুলিশ কর্ত্তৃপক্ষ নাকি সে সভা ভঙ্গ করিবার জন্য ও বহুসংখ্যক লগুড়ধারী পুলিস প্রেরণ করিয়াছিলেন।