পাতা:১৯০৫ সালে বাংলা.pdf/২০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটিকে বৈধকরণ করা হয়েছে। পাতাটিতে কোনো প্রকার ভুল পেলে তা ঠিক করুন বা জানান।
[ ১০ ]

পূজা করিতে জানে না, বা আত্মোৎসর্গকারীর মহত্ত্ব হৃদয়ঙ্গম করিয়া তাঁহার প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশে অগ্রসর হয় না, সে জাতির উন্নতির সম্ভাবনা অতি অল্প, একথা বলাই বাহুল্য।

 দুঃখের বিষয়, আমাদের দেশের একদল মহাত্মা এই সদনুষ্ঠানে বাধা দানে সাধ্যমত ত্রুটী করেন নাই। ইঁহাদের মধ্যে কেহ কেহ দেশবাসীর নিকট পণ্ডিত ও সম্ভ্রান্ত বলিয়া পরিচিত; কাহারও কাহারও স্বদেশভক্ত বলিয়া পরিচয় দানের আগ্রহও অল্প নহে। তথাপি ভীরুতা বশেই হউক, অথবা স্বভাব-দোষেই হউক, তাঁহারা রাজপুরুষদিগের হস্তে লাঞ্ছিত দেশের লোকের প্রতি প্রকাশ্যভাবে সম্মান প্রকাশে প্রতিবাদ করিয়াছেন। তাহার পর যাহাতে কলিকাতা টাউনহলে এরূপ সভার অধিবেশন না হয়, দেশের নেতৃবৃন্দ যাহাতে এই কার্য্যে যোগ না দেন, সেজন্যও গুণধরেরা চেষ্টার ত্রুটী করেন নাই। এই সকল ব্যক্তির চেষ্টা সম্পূর্ণরূপে ব্যর্থ হইয়াছিল সত্য, তথাপি ইহাদের নীচতামূলক ব্যবহার কোন মতেই উপেক্ষণীয় নহে। নানা শ্রেণীর লোক ভিন্ন ভিন্ন কারণে এবিষয়ে আপত্তি করিয়াছিল। আমরাও কাহারও নামোল্লেখ না করিয়া অতি সংক্ষেপে কারণ গুলির উল্লেখ ও আলোচনা করিতেছি।

 প্রথম আপত্তি, লাঞ্ছিত ব্যক্তিরা সম্মান প্রাপ্তির যোগ্য কোন কার্য্য করেন নাই। অন্যান্য দেশে যাহা্রা বড় বড় কার্য্য করেন তাঁহাদিগেরই সম্মান লাভ ঘটে। আমরা কেন তিলকে তাল করিয়া তুলিব? তাহাতে কি লাভ হইবে?