পাতা:১৯০৫ সালে বাংলা.pdf/১১৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।

[ ১০২ ]

করিলেন যে, গত কল্য যে স্থানে বালকদিগের রক্তপাত হইয়াছে ও সুরেন্দ্র বাবু বন্দি হইয়াছে, সেই স্থানে একটি স্মৃতিস্তম্ভ স্থাপিত হউক। এই প্রস্তাব উপস্থিত হইবা মাত্র চাঁদা সংগৃহীত হইতে আরম্ভ হইল। অবশ্য নগদ টাকা লইয়া অতি অল্প লোকেই সমিতিতে উপস্থিত হইয়াছিলেন। সুতরাং সকলে সভাস্থলে অর্থদান করিতে পারেন নাই, তথাপি অনেকে হস্তের অঙ্গুরীয়ক প্রভৃতি খুলিয়া স্মৃতিস্তম্ভের সহায়তাকল্পে দান করিয়াছিলেন। বাবু তারাপ্রসন্ন বসুর পত্নী শ্রীমতী সরোজিনী বসু তাঁহার সোণার বালা খুলিয়া দান করিলেন এবং প্রতিজ্ঞা করিলেন, যতদিন বঙ্গদেশে “বন্দেমাতরম” রহিত করিবার অবৈধ আদেশ রহিত না হয় ততদিন তিনি আর হস্তে বালা পরিবেন না। এই প্রতিজ্ঞা শ্রবণ করিয়া সকলে “বন্দেমাতরম্” ধ্বনি করিলেন। উপস্থিত ক্ষেত্রে যাহারা এই স্মৃতিস্তম্ভ প্রতিষ্ঠার জন্য নগদ টাকা দান করিয়াছিলেন তাঁহাদিগের মধ্যে কলিকাতার জনৈক দরিদ্র ব্রাহ্মণের দানের মাত্রাই সর্ব্বাপেক্ষা অধিক হইয়াছিল; তিনি সভাস্থলে নগদ একশত মুদ্রা দান করিয়াছিলেন। শ্রীমতী সরোজিনী বসুর পত্র প্রকিশিত হইল।

দ্বিতীয় প্রস্তাব।

 ইহার পর দ্বিতীয় প্রস্তাবে বঙ্গের অঙ্গচ্ছেদ নিবারণের প্রসঙ্গ উত্থাপিত হয়। এই প্রস্তাব ফরিদপুরের বাবু কামিনী কুমার মুখোপাধ্যায়, চট্টগ্রামের বাবু যাত্রামোহন সেন, শ্রীহট্টের বাবু