[ ৯৮ ]
“বাবা শেষ পর্য্যন্ত আমি “বন্দেমাতরম্” বলিয়াছি। আর এক ঘা লাঠী খাইলে আমার মৃত্যু হইত।” পিতা মনোরঞ্জন বাবু প্রত্যুত্তরে বলিলেন, “বাবা দেশের জন্য তুমি যদি মরিতে, তাহা হইলে আমি কিছুমাত্র দুঃখিত হইতাম না।” ঐ দিবস বালকের জ্বর হয়; এখন আমরা আহ্লাদের সহিত পাঠকবর্গকে জানাইতেছি, তিনি ভাল আছেন।
বাবু কৃষ্ণকুমার মিত্র।
ইনি যে প্রকার স্বদেশানুরাগ ও সৎসাহস প্রকাশ করিয়া বালকদিগকে কাপুরুষদিগের আক্রমণ রক্ষা করিবার জন্য অগ্রগামী হইয়াছিলেন, তাহা পূর্ব্বেই বর্ণিত হইয়াছে। কৃষ্ণকুমার বাবু রিক্ত হস্তে ৪ জন কনেষ্টেবলের গলদেশ ধৃত করিয়া তাহাদিগকে কয়েক হাত তফাতে নিক্ষেপ করেন তাহাতে কয়েকটি ছাত্রের নির্য্যাতন রহিত হয়।
বাবু ভূপেন্দ্রনাথ বসু
ছাত্রদিগকে রক্ষা করিবার জন্য নির্ভীক চিত্তে সশস্ত্র পুলিশ কনষ্টেবলের হস্ত ধারণ করিয়া বলিলেন “মারো মৎ”। একজন মুসলমান প্রহরী তাঁহাকে বলিল, “তোমকোবি মারেগা” ভূপেন্দ্রবাবু বলিলেন, “মারো”। তাঁহাকে কিন্তু কেহ মারিল না।