পাতা:১৯০৫ সালে বাংলা.pdf/১১৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।

[ ১০৩ ]

শশীন্দ্র সিংহ, কাছাড়ের বাবু ইন্দুভূষণ মজুমদার, বৰ্দ্ধমানের মৌলবী আবুল হোসেন, কৃষ্ণনগরের বাবু বেচারাম লাহিড়ী, হুগলীর বাবু মথুরানাথ গাঙ্গুলী, ২৪ পরগণার ডাক্তার গফুর প্রভৃতি উত্থাপন, অনুমোদন ও সমর্থন করেন। সর্ব্বসম্মতিক্রমে “বন্দেমাতরম্” ধ্বনি সহকারে এই প্রস্তাব পরিগৃহীত হয়।

তৃতীয় প্রস্তাব।

রায় যতীন্দ্রনাথ চৌধুরী মহাশয় তৃতীয় প্রস্তাব উত্থাপিত করেন। এই প্রস্তাবে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের বিষয় অলোচিত হইয়াছিল। বাবু হীরেন্দ্রনাথ দত্ত, বাবু ব্রজসুন্দর রায়, বাবু সুরেন্দ্রনাথ সেন, মৌলবী হেদায়ৎ বক্স এই প্রস্তাবের অনুমোদন ও সমর্থন করেন। এই সময়ে সেই প্রসিদ্ধ বীর বালক রাজেন্দ্র লাল সাহাকে সকলের সম্মুখে উপস্থিত করা হইল। পাঠকের স্মরণ থাকিতে পারে যে, এই বালক আসামীর কাঠগড়ায় থাকিয়া ও বিলাতী কলমে নাম স্বাক্ষর করিতে অসম্মতি প্রকাশ করিয়াছিল; এবং কারাগারে বিলাতী কম্বল ব্যবহার করিতে চাহে নাই। তাহাকে দেখিয়া সকলে উচ্চরবে “বন্দে মাতরম্” ধ্বনি করিলেন। অতঃপর জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উন্নতি-কল্পে গৌরীপুরের ভূম্যাধিকারিণী শ্রীমতি বিশ্বেশ্বরী দেবী এক লক্ষ টাকা, বাবু সুরেন্দ্রনাথ চৌধুরী তিন হাজার, বাবু অনাথবন্ধু গুহ দুই হাজার, ডুমহারের বাবু বরেন্দ্র কুণ্ডু মহাশয় পাঁচশত টাকা নগদ দান করিতে স্বীকার করেন।