পাতা:শ্রীশ্রী রাধামোহন প্রভুর চরিত্র - গিরীশ চন্দ্র চট্টোপাধ্যায়.pdf/৪৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

পঞ্চম পরিচ্ছেদ । سن{(ي প্রধান প্রধান স্থান নিবাসী গোস্বামী, মহাস্ত, পণ্ডিতবর্গকে বিচারে অপ্রতিভ করিয়া স্বকীয় পত্রে দস্তখত করাইয়া লইলেন। পরে প্রপাঠ খণ্ডে আসিয়া তত্ৰত্য সরকার ঠাকুরের বংশ সম্ভত গোস্বামী দিগকে স্বকীয় মত গ্রহণ করিতে বলিলে তাহারা কহিলেন, “আমরা পুরুষানুক্ৰমে পরকীয় মতাবলম্বী, হঠাৎ স্বকীয়া মতে যাজন বা স্বকীয় পত্রে স্বাক্ষর করিব না। তবে যদি শ্ৰীনিবাস আচার্য্যের বংশ তিলক গ্রীরাধামোহন প্রভুর সহিত বিচারে যে মত মুখ্য বলিয়া প্রমানীকৃত হইবে আমরা সেই মতই গ্রহণ করিৰ ।” কৃষ্ণদেব ভট্টাচার্ষ্য র্তাহাদিগের বাক্যে সন্মত হইয়া সকলের সঙ্গে যাজিগ্রাম আগমন করিলেন, তথায় শুনিলেন রাধামোহন ঠাকুর মালিহাট গ্রামে বাস করিতেছেন, যাহা হউক দিগ্বিজয়ী আর মালিহাট নষাহয় ভাগীরথী পার হইয়া একবারে মুর্শিদাবাদে উপস্থিত হইলেন । এবং অত্রত্য নবাব জাফর খার দরবারে গিয়া দরখাস্ত দিলেন, “যে আমি মহারাজ জয়পুরেশ্বরের সভাপণ্ডিত, আমার নাম কৃষ্ণদেব ভট্টাচাৰ্য্য, আমি মহারাজ জয়সিংহের আদেশানুসারে গোস্বামী প্রনীত বহু শাস্ত্রের সমালোচনা করিয়া স্বকীয়াও পরকীয়া মতের মধ্যে স্বকীয়া মতই মুখ্য বলিয়া স্থিরীকৃত করিয়াছি। এবং জয়পুর হইতে উৎকল ও গৌড়দেশ পৰ্য্যস্ত সমস্ত স্বপ্রসিদ্ধ পণ্ডিত মণ্ডলী ও মহামহোপাধ্যায় গোস্বামী