পাতা:শ্রীশ্রী রাধামোহন প্রভুর চরিত্র - গিরীশ চন্দ্র চট্টোপাধ্যায়.pdf/২৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

২২ রাধামোহন চরিত্র । এই স্থানেই তিনি একাধিক ত্রিশত পদ সংগ্রহ পূৰ্ব্বক “পদাযুত সমুদ্র” নাম দিয়া তাহার টীকা প্রণয়ন করিলেন। সায়ং কালে কোনদিন গোবিন্দ কুঞ্জে, কোন দিন বা গোপীনাথের কুঞ্জে, কোন দিন মদনমোহনের কুঞ্জে, সেই সকল গীত সুমধুর স্বরে কীৰ্ত্তন করিয়া শ্রোতৃবৃন্দের চিত্ত বিনোদন করিতে লাগিলেন ; পশু পক্ষিগণ ও তদীয় সুললিত গাণ শ্রবণে মোহিত হইয়া নিশ্চেষ্ট থাকিত । এইরূপে বৃন্দাবন ধামে একাধিকক্ৰমে ছয় বৎসর অবস্থিতি করিয়া প্ৰভু সকলের নিকট জন্মভূমি গমনের ইচ্ছা প্রকাশ করিলেন। ব্ৰজবাসী সকলেই তাহাকে প্রাণ তুল্য ভাল বাসিত, সুতরাং এই কথা শ্রবণে সকলের হৃদয়ে যেন শেল বিদ্ধ হইল। তাহারা প্রভুর ভাবী বিরহে সাতিশয় কাতর হইলেন, নয়ন যুগল অশ্রুজলে পরিপ্ল ত হইল। রাধামোহন প্ৰভু সকলকে আশ্বস্ত বাক্যে প্রবোধ দিয়া শুভ দিনে বৃন্দাবন হইলে যাত্রা করিলেন। কালিন্দীদাস ও পরাণ দাস উভয়েই র্তাহার অনুগামী হইলেন। প্রভু দুই চারি পদ গমন করিয়া যেমন বৃন্দাবনের দিকে দৃষ্টিপাত করেন, অমনি অজস্র প্রেম ধারায় তাহার বক্ষঃস্থল প্লাবিত হইয় উঠে । এইরূপে মধুরাপুরে উপস্থিত হইয়া তথায় তিন দিন অবস্থান করিলেন । তথা হইতে কাশীধামে পঞ্চদিন অতিবাহিত