পাতা:গিরিশ গ্রন্থাবলী.pdf/১৬৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

যেন কেমন হইয়া গেলেন ; কি যেন বলি বলি করিয়া বলেন না—শেষ অনেক পীড়গড়িতে কবিরাজ বলিলেন যে, তিনি তাহার গুরুর নিকট এরূপ ব্যাধির কথা শুনিয়াছিলেন। এ ব্যাধি যদি আপনি আরোগ্য হয়, তাহ হ ইলেই মঙ্গল,—নচেৎ অন্য উপায় নাই ; ইহা চিকিৎসার অতীত। ধরণীধর অনেক অকুনয়-বিনয় করিয়া জিজ্ঞাসা কপিলেম, এ কি ব্যাধি—ইহার নিদান কি ? কবিরাজ উত্তর করিলেন,— “এ ব্যাধির কথা শুনিয়াছি, কিন্তু রোগ শাস্ত্রে দেখি নাই। তবে অামার যা বিশ্বাস, তাহা অামি কাহাকেও বলিব•ন। প্রথমতঃ বলায় কোনও ফল নাই ; দ্বিতীয়তঃ প্রমাণভাব—লোকের বিশ্বাস জন্মিবে না ; কিন্তু প্রধান ঔষধ-স্থান-পরিবর্তন । এ দেশে কদাচ কন্যাটাকে লইয়া আসিবেন না । কিন্তু তাহাতেই যে কি ফল হইবে, বলিতে পারি না।” কন্যার মমতায় কাজকৰ্ম্ম বন্ধ করিয়া, কলিকাতার সম্পত্তি বেচিয়া, ধরণী কর্ণাট অঞ্চলে সমুদ্রতীরে বাস করিতে লাগিলেন। তাহাতে যেন কিছু সুফল দেখা গেল। কন্যাটী আর সেরূপ প্রলাপ বকে না, সেরূপ শূন্তদৃষ্টিতে আর চাহিয়৷ থাকে না। কিন্তু কিছুদিন পরে আবার সেই সমস্ত লক্ষণ আসিয়া জুটিল। তখন ধর 慧 ; ত্যাগ করিয়া বিন্ধ্যায় 飄 - পরিবর্তনে কয়েক দিজু উপকার বোধ হয় বটে, শেষে আর গঞ্জাকে না। এদিকে কন্যাট দিন দিন গীৰ্ণ হইতে লাগিল। কিন্তু ধত बैौ* श्ब्र, खस्छंश् बि प्रेिन्र क्रं ८षन्र কাটিয়া পড়েঃ দেখিলে বোধ হয় যেন, গোধুলি-জালোকে দেহ নিৰ্ম্মিত। ক্রমে কাটা শয্যাগত হইল, আর শুরু কোথাও বাইতে পারে না। একদিন গভীর রাত্রে ক্তিকে বিছানায় বসাইয়া যেন তাহার প্রবেশ মাত্র গুমিল্লয়, “জাছীজাবার কাল أسثتحتشميس – حد - _ C4 '; স্থ o 腳 મ । レー〉 করিলেন, —“তুমি কাকে কাল আসিতে বলিলে ?” কন্য। উত্তর করিল,—“কেন, অামার সইকে।” ধর। তোমার সই কে ? কন্যা । সই নাম বলে না, বলে, একদিন বলিব । ধর। কোথায় থাকে ? কনা। অতি সুন্দর জাযগায়, সেখানে সষ্ট আম যে লইয়। যাইবে । পূব । তান্তি সুন্দর জানিলে ? T. কনা। কেন, সষ্ট আমায় বলে, তাহার ছবি দেখায়। সেথায় কত রকম ফুল ফোটে, কত রকমের বারণ। খেলা করে, কত রকমের পার্থী গান গায় । সে সকল পার্থী এখানে আসিতে পারে না, সে সকল ফুল এখানে আনিতে গেলে ঝরিয়া যায়, সে সকল স্থানের জল এখানকার তাপে শুকাইয়া যায় । সে স্থানে আমাকে একদিন লইয়। যাইবে। আমাকে লইয়া যাইবার পথ করিতেছে । পথ* প্রায় হইয়াছে, দু'একদিনেই শেষ হইবে । ধরণীধর এ সকল কথা প্রলাপবাক্য বলিয়া বুঝিলেন ; কিন্তু কোন চিকিৎসকই রোগ নির্ণয় করিতে পারিলেন না। এদিকে স্থিরদামিনীর আর কিছুমাত্র আহার নাই, দিনে এক পোয় দুধ উদরস্থ হয় না। শয্যার সহিত সে দিন দিন মিশাইয়া যাইতে লাগিল । একদিন প্রায় রাত্রি শেষ হইয়াছে, ধরণীধর কন্যার শষ্যার পাশ্বে বসিয়া আছেন, স্থির স্থান কিরূপে দামিনী ধীরে ধীরে বলিল,—‘বাবা, আজ আমার পথ প্রস্তুত হইয়াছে, প্রাতঃকালে যাইব । সই আসিয়া লইয়া যাইবে।” রাত্রি প্রভাত হইল ; অরুণোদয়ে পৃথিবী ব্রহ্মমূৰ্ত্তি ধারণ করিয়াছে। স্থিরদামিনী ধীরে ধীরে বলিতে লাগিল, “আমার সই আসিতেছে। ঐ দেখ, সই আসিয়াছে। যে স্থানে যাইতেছি, তথায় অনাহারে যাইতে হয়! সইও