পাতা:বাঙ্গালীর গান - দুর্গাদাস লাহিড়ী.pdf/২৬০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

)Sab" বিচ্ছেদে এ দশ৷ বিগলিতকেশী, নহে এতে জটাভার। বয়সে নবীন, প্রাণপতি বিন, যোগিনী হয়েছি সম্প্রতি । কণ্ঠে কালকট নহে, দেখ পরেছি নীলরতন । অরুণো হলো নয়ন ক'রে পতি বিরহে রোদন ॥ এ অঙ্গ আমারো, ধূলায় ধূসরো, মাখি নাই মাখি নাই বিভূতি । க_. রমণীরে সকলে নিদয় । কেহ নারীর হিতকারী নয় ॥ পাণ্ডব খাণ্ডব বন দহিল যখন । নানা জাতি পক্ষী তাতে চইল দাহন । কোকিল মরিত যদি তায় । তবে কি কুহু রবে প্রাণ যায় ॥ বিরহিণী বধিবরে বাচাইল ধনঞ্জয় ॥ কোকিলে কি সময়ে পেলে | তুমি এতদিন কোথ ছিলে ? কালগুণে কাল তুমিও হোলে। একে তো বসন্ত ভুপতি । অবিচারে মারে যুবতী । হোয়ে পক্ষ, তারি পক্ষ, নারী বধিতে এলে । ধোবন জনমের মত যায়, সেত আশা-পথ নাহি চায়। কি দিয়ে গো প্রাণসখি রাখিব উহায় । জীবন যৌবন গেলে, আর ফিরে নাহি পুনৰ্ব্বার। , বাচিত বসন্ত পাব কান্ত পাব পুনরায়। গেল গেল এ বসন্ত কাল, আসিবে তৎকাল। কালে হল কাল, আমার এ যৌবনকাল। কাল পূর্ণ হলে রবে না, প্রবোধ প্রবেধ মানে না, আমি যেন রহিলাম তার আসার আশায় ॥ হায় ষোল কল পূর্ণ হল যৌবনে আমার। দিনের দিন ক্ষয় হল সই ফল পাব কি তার। কৃষ্ণপক্ষ প্রতিপদে হয় শশিকল ক্ষয়। শুক্লপক্ষে হয় পুন পূর্ণোদয়। | লাঙ্গালীর গান । যুবতীর যৌবন হলে ক্ষয়, কোটি কল্পে পুনঃ নাহি হয় । যে যাবে সে যাবে হবে অগস্ত্য-গমনপ্রায়। সেই গেলে প্রাণ আসি বলে, এই কি সেই আসি মুখের আশে দুখে ভাসে বঁধু তোমার প্রাণপ্রেয়সী বল কেমন পেয়েছিলে নব রূপসী । তার আশায় যদি বশ হলে রসময়, আশা দিয়ে আমারে হে যাওয়া উচিত নয়, আশা পথ চেয়ে আমি নয়ননীরে ভাসি । এস এস এস দেখি প্রাণ একি চমৎকার। অপরূপ আগমন হইল তোমার । শশী সঙ্গে প্রাণ তুমি করিলে গমন। ভানু সঙ্গে পুনঃ আসি দিলে দরশন। আমারে বপন করে কোথ য়ু পোহাইলে নিশি ॥ _2 এই খেদ, তারে দেখে মরতে পেলেম না। আi,ায় চাক্‌ বা ন চাকৃ, সদা মুখে থাকৃ, কেন দেখা দিয়ে একবার ফিরে গেল ন ॥ জীবনে থাকিতে প্রাণনাথ, যদি নাহি এলো নিবাসে। লুব্ধ আশা দিয়ে সে, কেন রইল প্রবাসে। আমি সেই আশাবৃক্ষে সদা দিয়ে অশ্রুজল, সিঞ্চিলাম সই, কই হ’লে মুখফল । তরু সমূলে শুকালে, শেষে এই হলো সই, কালে কোকিলেরি রবে প্রাণে পাচে ন ॥ ছি ছি প্রাণ, বোলোনা প্রাণ । ইথে হাস্বে লোকে, আমার পাকে, শেষে হবে কি হে অপমান । যারে প্রাণ সঁপেছ, সেই এখন প্রাণ। আমায় বল্পে প্রাণ, প্রাণ জুড়বে না। শুনলে সে আবার, পাৰে প্ৰাণে প্রাণে যাতনা । আমায় করে অস্তরের অন্তর, পরে অন্তরে দিয়েছে স্থান ॥ নূতন ধারা, তোমার তারা, নয়নের তারা। একি স্কুলে ভুল, যে জন আঁখির শূল, কেন তায় আদর করা।