পাতা:গৌড়ের ইতিহাস (প্রথম খণ্ড).djvu/৫৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

૨૭ গৌড়ের ইতিহাস । এই সকল জেলার উৎপত্তির বহুপূৰ্ব্বে সমুদ্রগর্ভ হইতে রাজসাহী মালদহ পূর্ণিয়া, দিনাজপুর ও রঙ্গপুরের উদ্ভব হইয়াছে। প্রায় সাড়ে চারিহাজার বৎসর পূৰ্ব্বে সমুদায় বঙ্গ সমুদ্রগর্ভে নিমগ্ন ছিল । চণ্ডালজাতীয় লোক প্রথমতঃ এই সকল অনুপ দেশে বাস করিত। এই প্রদেশ তখন অশ্বরথ-বিচরণযোগ্য ছিল না । এই অবস্থায় উত্তরপশ্চিমাঞ্চলের কোন আক্রমণকারীকে বাধা দিতে হইলে নেী-সাধন ভিন্ন অন্তসাধন কাৰ্য্যকারী হইত না । দিল্লীর লৌহস্তম্ভে উৎকীর্ণ আছে যে, গুপ্তবংশীয় মহারাজ দ্বিতীয় চন্দ্রগুপ্ত যুদ্ধার্থ সমবেত বঙ্গবীরগণকে পরাজিত করেন। মহারাজ সমুদ্রগুপ্তের শাসনাধীনে বঙ্গদেশের সমতট ও ডবাক রাজ্য গঠিত হয়। এই স্থানে রাজগণের যত্নে বৈদিক মিশ্রিত পৌরাণিক মত প্রচারিত হয় । সম্ভবতঃ এই ডবাক রাজ্যের নাম ঢাকায় বিলীন আছে । * যে সময়ে শূৰ্ব-বংশ পুণ্ড বদ্ধনে রাজত্ব আরম্ভ করেন, তাহার পূর্ব হইতেই বঙ্গে খড়গ-বংশের রাজত্ব আরম্ভ হয়। এই বংশের প্রথম রাজা খঙ্গোদ্যমের তাম্রশাসন ঢাকাজেলার রায়পুর থানার অন্তর্গত আস্রফপুর হইতে আবিষ্কৃত হইয়াছে। খঙ্গোস্কমের পুত্র জাতখড়গ ও জাতখঙ্গের পুত্র দেবখড়েগর নাম পাওয়া গিয়াছে। দেবখড়েগর মন্ত্রীর নাম পুরাদাস । তিনি একজন সৎকবি ছিলেন । আস্রফপুরের নিকটবৰ্ত্তী কোন বৌদ্ধ-বিহারে, ৬৫৬ খৃষ্টাব্দে,রাজরাজভট্ট নামক কোন বিখ্যাত পণ্ডিত বাস করিতেন। সমতটে এক ব্রাহ্মণ

  • কালিক। পুরাণে ঢাকার বুড়ীগঙ্গা নদীর বৃদ্ধগঙ্গ। নাম আছে। লিখিত আছে, নাটশৈলে একটা সরোবর আছে। উহার মধ্যদেশ হইতে সাগরগামিনী বৃদ্ধগঙ্গা নদী, শঙ্কর কর্তৃক অবতারিত হইয়াছে (৮২তম অধ্যায়) । ঐ পুরাণেই আছে, বৃদ্ধ

গঙ্গার জলের মধ্যেও ব্রহ্মপুত্র নদের তীরে যেস্থানে বিশ্বনাথ নামক দেবতা আছেন, সেখানে বিষ্ণু, হয়গ্রীবকে বধ করেন ।