পাতা:গৌড়ের ইতিহাস (প্রথম খণ্ড).djvu/২২২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

సిన8 গৌড়ের ইতিহাস । যাইতেছে । দীঘিকার তীরস্থ মৃৎপুঞ্জ ভেদ করিয়া চারিট জলনালী দীর্ঘিকায় নামিয়াছে ; চৌধুরী মহাশয় অনুমান করেন, উহা পুষ্করিণীর ঘাটে যাইবার পথ ছিল। ভাতশাল টামনা দীঘী হইতে ক্ষুদ্র পুষ্করিণী । উহাতে বাগবাড়ীর লোকে পূৰ্ব্বে মড় ফেলাইত, শুনাযায়। কেন, এরূপ করিত বোঝা যায় না। হয়ত বাগবাড়ী প্রস্তুত করার পূৰ্ব্বে সেখানে গঙ্গা ছিল। লোকে, পূৰ্ব্বরীতি অনুসারে তথায় মৃতদেহ নিক্ষেপ করিত। ** লক্ষণসেন ( ১১৬৯ খৃঃ—১২০৬ খ.: ) । ১১৬৯ খৃষ্টাব্দে, বল্লালসেনের পুত্র লক্ষ্মণসেন সিংহাসনে আরোহণ করেন। লক্ষ্মণ সেনের মহাসামন্ত বটুদাসের পুত্র মহামাগুলিক শ্রীধর দাসের “স্থক্তিকর্ণামৃতে” আছে ;— “শাকে সপ্তবিংশতাধিকশতোপেতদশশতে শরদাম্ শ্ৰীমল্লক্ষ্মণসেনদেবক্ষিতিপস্য রসৈকত্রিংশে । সবিতুগত্যা ফালগুনবিংশেষু পরার্থহেতাবকুতুকাৎ । শ্ৰীধরদাসেনেদং “মুক্তিকর্ণামৃতং” চক্রে ॥” অর্থাৎ, শ্ৰীধরদাস ১১২৭ শাকের ২ শে ফাস্তুন “হুক্তিকর্ণামৃত” রচনা করেন। তখন লক্ষ্মণসেনের রাজত্বের ৩৭ বৎসর অতীত হইয়াছিল। সে সময় লক্ষ্মণসেন পূর্ববঙ্গে অবস্থান করিতেছিলেন । সমগ্র গৌড় রাজ্যের কিয়দংশ হস্তবহির্ভূত হইলেও,তিনি তাহার দাবী পরিত্যাগ করেন নাই। ১১২৭—৩•= ১১৯০ শাকে লক্ষ্মণসেন সিংহাসনাধিরোহণ করেন। সচরাচর ১১৯৮ খৃষ্টাব্দে গৌড়নগর মুসলমানদের অধিকৃত হয়, এইরূপ