পাতা:গৌড়ের ইতিহাস (প্রথম খণ্ড).djvu/১৪২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

1 ) & গৌড়ের ইতিহাস । ‘হুণ’, ‘কল্লাট’, ‘লটি ‘চাটভাট সেবকাদি ও মহাপূজনীয় ব্রাহ্মণ হইতে গোমেদ, অন্ধ, চাণ্ডাল পর্য্যন্ত সকলকে জানাইয়া কলশপোত নামক গ্রামে সংস্থাপিত সহস্রায়তনে প্রতিষ্ঠাপিত শিবভট্টারকের উদ্দেশে,পাশুপত আচাৰ্য্য পরিষদকে গঙ্গাতীরবর্তী তীরভূক্তি কক্ষবিষয়ের অন্তর্গত মুকুতিক গ্রাম মহারাজ নারায়ণ পাল প্রদান করিতেছেন। দানের উদ্দেশু এই যে— পাশুপত আচাৰ্য্য পরিষদ, দেবতার সেবা করিবেন ; পীড়িত ব্যক্তিদিগকে আশ্রয় দিবেন ; গ্রামের চতুঃপার্শ্বস্থ গোচারণস্থানে, গ্রামস্থ আম্রমধুক বৃক্ষে, সগৰ্ত্তোষর অর্থাৎ নিম্ন ও পতিত অনুৰ্ব্বর জমিতে, গ্রামে যে শুল্ক, জরিমানা ও রাজস্ব আদায় হইত, তাহাতে পাশুপত আচার্য্যের অধিকার স্বীকৃত হইয়াছে। গ্রামের শান্তিরক্ষার ভারও তাহার প্রতি অর্পিত হইয়াছে। চাটভাট প্রভৃতিকে গ্রামে প্রবেশ করিতে নিষেধ করা হইয়াছে। এই চট্টভট্ট, চাটভাট অথবা চাটভট শব্দে কাহাদিগকে লক্ষ্য করা হইয়াছে, তাহ বিচাৰ্য্য। ধৰ্ম্মপালের তাম্রশাসনেও ইহাদিগের উল্লেখ আছে । স্বৰ্গীয় উমেশ চন্দ্র বটব্যাল মনে করিতেন,—“চট্টশব্দে চাটগা অঞ্চলের ও ভট্টশব্দে ভূটান অঞ্চলের লোকদিগকে লক্ষ্য করা হইয়াছে, চাটিগ ও ভূটান অঞ্চলের লেকি রাজ্যে প্রবেশ করিয়া উৎপাত করিত। আমাদিগের এই অনুমান সঙ্গত বোধ হয় না । সীমাস্তবাসী জাতিগণ ভিন্ন রাজার আজ্ঞাপালন করিবে কেন ? এরূপ কোন প্রমাণ পাওয়া যায় না যে, পাল-রাজগণের রাজ্য চট্টগ্রাম পৰ্য্যন্ত বিস্তৃত হইয়াছিল এবং চট্টগ্রামবাসীরা যে মুঙ্গের পর্য্যস্ত যাতায়াত করিত, তাহাও বোধ হয় না । হর্ষবৰ্দ্ধন শিলাদিত্যের পশ্চিম প্রদেশীয় তাম্রশাসনেও চাটভাট কথা আছে। অতএব চাটভাট যে চট্টগ্রাম ও ভুটানের লোক নহে, তাহাতে সন্দেহ নাই । রাজ-সেনা ও রাজপ্রিয় চাটুকারের প্রায়ই দৌরাত্ম্যকারী হইয়।