পাতা:ময়ূখ - রাখালদাস বন্দ্যোপাধ্যায়.djvu/২২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটিকে বৈধকরণ করা হয়েছে। পাতাটিতে কোনো প্রকার ভুল পেলে তা ঠিক করুন বা জানান।
১৪
ময়ূখ

ভাসাইয়া দিয়া জলে পড়িয়াছিলাম আর নৌকার কাছি ধরিয়া সাঁতার দিয়া পলাইলাম। রাঙ্গামাটির নিকট নৌকা তীরে লাগাইলাম। মহারাজের জ্ঞান হইলে তাঁহাকে গঙ্গাতীরে বসাইয়া রাখিয়া গ্রামে লোক ডাকিতে গিয়াছিলাম, ফিরিয়া আসিয়া দেখি নৌকাও নাই মানুষও নাই। নদীর তীরে তীরে তাঁহার সন্ধান করিতে করিতে আসিয়াছি; কিন্তু কোথাও তাঁহার চিহ্ন পাই নাই।”

 কিয়ৎক্ষণ চিন্তা করিয়া তর্করত্ন কহিলেন—“ভুবন, মহারাজকে আমরা দেখি নাই। তিনি বোধ হয় তোমার নৌকা লইয়া হার্ম্মাদের নৌকার অনুসরণ করিয়াছেন। তুমি তোমার বড় নৌকা প্রস্তুত কর; দেবেন্দ্রনারায়ণের অন্নের ঋণ যে যে এখনও স্বীকার করে তাহাদিগকে প্রস্তুত হইতে বল। মহারাজ একাকী গিয়াছেন, কি হইবে বলিতে পারা যায় না। হয় ত আজি দেবেন্দ্রনারায়ণের বংশ লোপ হইবে। তুমি বিলম্ব করিও না। দুই দণ্ডের মধ্যে তোমার নৌকায় আমি সপ্তগ্রাম যাত্রা করিব। আমি রাজবাটীতে চলিলাম।”

 তর্করত্ন দ্রুতপদে প্রস্থান করিলেন, ভুবনও অন্য দিকে চলিয়া গেল। কিয়ৎক্ষণ মন্ত্রমুগ্ধের ন্যায় দাঁড়াইয়া থাকিয়া গোস্বামীও গৃহে প্রত্যাবর্ত্তন করিলেন। তখন মাধব খুড়া কহিলেন—“কি হে কালিদাস, কি রকম বুঝিতেছ?” “গোস্বামীকে সমাজচ্যুত করা অসম্ভব।” “তর্করত্ন যখন বিরূপ