পাইয়াছিস্?” “সে খাস্ দরবারে গিয়াছে।” “তবে আর বিলম্ব করিয়া কাজ নাই, তুই আর সরার খাইলে চলিতে পারিবি না। এই বেলা চল্, অমরসিংহ ফটকে লুকাইয়া থাকিব।”
তখন গৃহের মধ্যে বিনোদিনী মথুরার পুরোহিতের অভ্যর্থনা করিতেছিলেন। বিনোদিনী আসন দিলেন, পুরোহিত উপবেশন করিলেন। সেই মুহূর্ত্তে ললিতা পাগলিনীর ন্যায় ছুটিয়া আসিয়া বৃদ্ধ ব্রাহ্মণের পদতলে লুটাইয়া পড়িল! সে একবার মাত্র ডাকিল, “তর্করত্ন খুড়া?” তাহার পরে মুর্চ্ছিতা হইয়া পড়িল।
বাদশাহ্ যখন আগ্রায় থাকিতেন তখন প্রতিদিন আগ্রা দুর্গ ও প্রাসাদ সমূহ বহু বর্ণের আলোকমালায় সজ্জিত হইত, লক্ষ লক্ষ গন্ধ তৈলের দীপ ভিন্ন ভিন্ন বর্ণের কাচের আবরণের মধ্যে রক্ষিত হইত, শ্বেত মর্ম্মরের জলাশয়ে শত শত ফোয়ারার মুখে ভিন্ন ভিন্ন বর্ণের সুগন্ধি বারিরাশি উত্থিত হইত, ফোয়ারার চারি পার্শ্বে ও মর্ম্মরনির্ম্মিত হ্রদের চারি দিকে বহু ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র