পাতা:ঐতিহাসিক চিত্র - পঞ্চম পর্য্যায়.pdf/৫২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বগুড়া জেলার ঐতিহাসিক উপকরণ । 8 ○ ভারতবর্ষের নানা স্থানে অনেক পীর বা ফকিরের আস্তানা বা দরগা দেখিতে পাওয়া যায়। এক একটী পীরের • মাহাত্ম্য সীমাবদ্ধ এবং যতদূর পৃষ্ঠাতার মহিমা জাহির হইয়াছে, ততদূর তিনি পূজিত । * বাঙ্গালা বা চট্টগ্রামের পীর তত্ত্যুৎ স্থানেই বিশেষ সমাদরে পূজিত হন। কদাচি উত্তর-পশ্চিম বা বিহারবাসীরা তাহাতে যোগ দেয় না ; কিন্তু পাচ পীরের কথা ভারতবর্ষের সর্বস্থানে ব্যাপ্ত আছে। কোন পাঁচজন পীর লইয়া এই পাঁচ পীরের নাম হইয়াছে, তৎসম্বন্ধে মতভেদ আছে। সাধারণতঃ সকলে বরাইচ। নগরের গাজি মিঞা, তদীয় ভাগিনেয়। পীর তাথিলী বা হটিল সাহেব, লক্ষ্মেীবাসী পীর জহ, জৌনপুরের পীর মহম্মদ ও অন্য একটা লইয়া পঞ্চ পীর কল্পনা করেন । সেরপুরে গাজি মিঞার সাদি উৎসব। জৈাষ্ঠের তৃতীয় বৃহস্পতিবাৱে মাদারগণকে থানে উঠান হয়, শুক্ৰবারে মীরগঞ্জ নামক স্থানে লইয়া যাওয়া হয় । সেখানে রাত্রিবাসের পর, পরদিন দ্রুপ লাগাড়ী হইয়া কেল্লাকুশি মেলায় উপস্থিত করান হয়। এখানে রবিবার হইতে উৎসব হইয়া থাকে। মাদারগণের নিকট মুসলমান ব্যতীত হিন্দুগণ ও “বদি” বা মালা বদল করিয়া থাকে এবং চেলাদের 2r°7 *C5gâè'ocatsq9 fag officap ! জ্যৈষ্ঠের তৃতীয় রবিবারে কেল্লাকুন্দির মেলা আরম্ভ হয়। * এখানে । পূর্বে এক একটী বালিকার গাজিমি এঃার সহিত বিবাহ হইত। দিল্লীর বাদাসাহের পুত্র সেরা সা সেরপুর নগর এবং এই নগরের এক ক্রোশ দূরবত্তী স্থানে কেল্লাকুসি মেলা স্থাপিত করেন। সের সার সময় হইতে জ্যৈষ্ঠ মাসের তৃতীয় রবিবারে পূর্বাহ বেলা চারি ঘটকার সময় উৎসব আরম্ভ হইয়া কয়েক ঘণ্টা কাল থাকে। সন্তানের মাতাপিত সাত দিন

  • এই মেলায় এ অঞ্চলের সকলে বৎসরের সমস্ত মসলা আদি ক্রয় করিয়া রাখেন : মেলাটিতে প্ৰায় সাত হাজার লোকের সমান মহত্ত্ব ।