পাতা:ঐতিহাসিক চিত্র - পঞ্চম পর্য্যায়.pdf/৭২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

द6भन ब्रास्त्रद९* । ぐい○ দর্শনোদেশে vশ্ৰীক্ষেত্রধামে গমন করেন । সঙ্গম রায় জাতিতে ক্ষত্রিয় হইলেও ব্যবসায়ে বণিক ছিলেন। ৬৮ খ্ৰীশ্ৰীক্ষেত্ৰধাম হইতে ফিরিবার পথে তিনি বদ্ধমানের নিকটবৰ্ত্তী রাইপুর গ্রামের মধ্য দিয়া যাইতেছিলেন। রাইপুর তখন ব্যবসা-বাণিজ্যের একটী প্ৰধান কেন্দ্র ছিল। স্থানের সুবিধা দেখিয়া সঙ্গম রায় এখানে থাকিয়া ব্যবসা-বাণিজ্য করিতে লাগিলেন,-ক্ৰমে ব্যবসায়ে তঁহার বিলক্ষণ উন্নতি হইতে লাগিল । তিনি রাইপুরেই স্থায়ী বাসস্থান নিৰ্ম্মাণ করিয়া তথায় বাস করিতে লাগিলেন। সঙ্গম স্লায়ের পর তঁহার পুত্র বন্ধুরায় ও পিতার ন্যায় রাইপুরে থাকিয়াই ব্যবসা করিতে লাগিলেন। তিনিও ব্যবসায়ে উন্নতিলাভ করিয়া প্রভূত ধনশালী হইয় উঠেন। বন্ধুরায়ের পুত্র আবু রায় রাইপুর হইতে বাসস্থান উঠাইয়া লইয়া বৰ্দ্ধমানে বাস করিতে থাকেন। আবু রায় একজন প্ৰসিদ্ধ ব্যবসায়ী ছিলেন । এই সময় দিল্লীর তদানীন্তন সম্রাটু সাজাহানের এক দল সৈন্য কোন বিদ্রোহ দমন জন্য এদেশে আইসে । পুর্বে বিশেষরূপ বন্দোবস্ত না থাকায় রসদ ও যানাভাবে সৈন্যদল বড়ই কষ্টে পতিত হইয়াছিল । রাজভক্ত, ধনী ব্যবসায়ী আবু রায় প্রভূত খাদ্য ও যান সংগ্ৰহ করিয়া দিয়া বিপন্ন সৈন্যদলের প্রাণরক্ষা করেন। প্রত্যুপকারস্বরূপ ঐ সৈন্যদিগের অধ্যক্ষ আবুরায়কে বৰ্দ্ধমান ফৌজদারের অধীনে রেকবি বাজার, ইব্রাহিমপুর ও মোগলটুলী নামক স্থানত্রয়ের কোতিয়াল ও চৌধুৰী পদ প্ৰদান করিয়া সম্মানিত করিলেন,-ইহা ১৬৫৭ খৃঃ অব্দের কথা । প্ৰাপ্তবয়সে আবুরায় মানবলীলা সংবরণ করিলে তৎপুত্র বাবুরায় পৈতৃক পদ ও সম্পত্তির অধিকারী হইলেন । বাবু সম্পত্তির যথেষ্ট উন্নতিসাধন করেন। তিনিও বৰ্দ্ধমান পরগণার অন্তর্গত আরও কয়েকটি সম্পত্তি লাভ করিতে সমর্থ হইয়াছিলেন । বাবুৱায়ের পুত্রের নাম ঘনশ্যাম রায়,-ঘনশ্যাম নিজ পৈতৃক সম্পত্তির