পাতা:ঐতিহাসিক চিত্র - পঞ্চম পর্য্যায়.pdf/৮১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ԳՀ धेऊिझाजिक 5िद्ध । করিয়াছিলেন । তঁহাদের রাজধানীর ভগ্নাবশেষ অদ্যাপি বিদ্যমান আছে। খৃষ্টীয় দশম শতাব্দীর প্রারম্ভ হইতে একাদশ শতাব্দীর পূর্ব পৰ্যন্ত পালবংশীয় নৃপতিগণ বঙ্গদেশে শাসনদণ্ড পরিচালন করিয়াছিলেন। তঁহাদের মধ্যে কোন কোন ব্যক্তি পূৰ্বাঞ্চলের কোন কোন প্রদেশে শাসনদণ্ড পরিচালনা করিতেন, তাহার কোনও প্রকৃত বিবরণ জানিতে পারা যায় না। কেহ কেহ বলেন, তালিপাবাদ পরগণার মাধবপুরে যশোপাল * ভাওয়ালের অন্তর্গত কাপাশিয়ার শিশুপাল এবং সাভারের নিকটস্থ কাটিবাড়ীতে হরিশ্চন্দ্র রাজদণ্ড পরিচালনা করিতেন। পালবংশীয় নৃপতিগণের নামের সহিত রঙ্গপুর অঞ্চলের ভূ ইয়া নৃপতিগণের নামের ঐক্যতা দৃষ্ট, বোধ হয় যে, এই উভয় রাজবংশ মূলত একই ংশ হইতে উদ্ভূত হইয়াছে। সকলেই জানেন যে, এক সময়ে রঙ্গপুরের ভূইয়া নৃপতিগণ ; সুদূর আসামের অন্তর্গত কামরূপ রাজ্য পৰ্য্যন্ত রাজত্ববিস্তার করিতে সমর্থ হইয়াছিলেন। আবুল ফজল আইনআকবরীতে লিখিয়াছেন যে, এক সময় কামরূপ রাজ্য বুড়িগঙ্গা এবং ধবলেশ্বরীর দক্ষিণ ও পশ্চিম প্ৰান্ত পৰ্যন্ত বিস্তৃত ছিল। এই কথা উপেক্ষিণীয় নহে। কারণ অন্যাপি ঐ অঞ্চলে রাজবংশী এবং কোচ প্ৰভৃতি আদিম অনাৰ্য্য অধিবাসিগণের বাস আছে। এই সময়ে পাল-নৃপতিগণের রাজধানী বিক্রমপুরই ছিল। মহারাজা হরিশ্চন্দ্ৰপালের বংশে বৌদ্ধনৃপতি মাণিকচন্দ্র ও গোবিন্দচন্দ্ৰ জন্মগ্রহণ করেন । এই উভয় ভ্রাতার নানাবিধ গুণাবলী অদ্যাপি পূর্ববঙ্গের যোগীজাতির মধ্যে গীত হইয়া থাকে। প্রাচীন বাঙ্গলা সাহিত্যে গোবিন্দচন্দ্ৰ গোপী পাল নামে প্ৰসিদ্ধি লাভ করিয়াছেন। দশ শ এগার কি দশ শ বার খৃষ্টাব্দে গোবিন্দচন্দ্ৰ দাক্ষিণাত্যপতি দিগ্বিজয়ী রাজেন্দ্ৰ চোল কর্তৃক পরাজিত হন । পালবংশীয় নরপতিগণের অধঃপতনের পরে বিক্রমপুরে বম্মবংশের অভু্যদয় হয় ; উহার এই অঞ্চলে বেশী দিন রাজত্ব করিতে পারে নাই,