পাতা:ঐতিহাসিক চিত্র - পঞ্চম পর্য্যায়.pdf/১৩৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ইংরেজ শাসনে বিক্রমপুর । X \9) ধ্বংসাবশেষের প্রাচীন দৃশ্য দেদীপ্যমান রহিয়াছে। ১৮১৭ সালে ইংরেজের কুঠি বন্ধ হইলে, ইউরোপে কাটুতি বন্ধ হওয়ায় ক্ৰমশঃ ঢাকার বসুশল্পের অধঃপতন হইতে থাকে । ধীরে ধীরে ইউরোপের সস্তা মোটা কাপড় চতুদিকে বিস্তৃত হইয়া বস্ত্ৰশিল্প নষ্ট করিয়া ফেলিল। শিল্পগৌরব । সম্পন্ন ঢাকার এই শিল্প অবনতির সঙ্গে সঙ্গে ইহার নাগরিক সমৃদ্ধিও বহু পরিমাণে লুপ্ত হইয়া গিয়াছে। ১৮০০ সালে ঢাকার জনসংখ্যা প্ৰায় দুই লক্ষ ছিল ; বিশপ হিবার ১৮২৩ খ্ৰীষ্টাব্দে ৯০,০০০ হাজার লোক দেখিয়া ছিলেন, ১৮৩৮ সালে ক্ৰমশঃ ব্যবসার প্রসারিত হ্রাস হওয়ায় উহা ৬৮ হাজারে পরিণত হয় । ১৭৯৩ সাল হইতেই ঢাকার বস্ত্ৰ-ব্যবসায়ের অবনতি হইতে থাকে । ঢাকার এই বিনষ্ট প্ৰায় শিল্পসমৃদ্ধি। পুনরায় কবে যে প্ৰাচীন গৌরবে মাথা তুলিয়া দ{ড়াইবে, তাহ নিৰ্ণয় করা মানব বুদ্ধির অগোচর । ঢ{ ক! এখন আবার প্রাদেশিক রাজধানীতে পরিণত হইয়াছে ; ক্ৰমশঃ ইহার নাগরিক সমৃদ্ধ ও বৃদ্ধি পাইতেছে, এই উন্নতির সঙ্গে সঙ্গে আধার। ইহার বিলুপ্ত শিল্প-গৌরব মাথা তুলিয়া দাড়াইবে কি ? ঢাকার শাসন সংরক্ষণের সঙ্গে সঙ্গে বিক্রমপুরের শাসন শৃঙ্খলার দিকেও কোম্পানীর মনোযোগ আকৰ্ষিত হইয়াছিল। পূর্বে আবদুল্লাপুর প্রভৃতি স্থানের স্থানীয় কাজী এবং পরিশেষে বড় বড় মোকদ্দমা ইত্যাদি। যেমন জাহাঙ্গীর নগরে আসিয়া নিষ্পত্তি করিতে হইত, তদ্রুপ ঠংরেজের বাঙ্গালা অধিকার ও কোম্পানীর দেওয়ানী গ্রহণের সঙ্গে সঙ্গে মামলা মোকদ্দমা ইত্যাদি ঢাকার নবপ্রতিষ্ঠিত বিচারালয়ে নিস্পত্তি হইতে । লাগিল। উহাতে বিক্রমপুরবাসিগণের যথেষ্ট অসুবিধা এবং যন্ত্রণা ভোগ করতে হইত। তখনকার সময়ে ঢাকায় অ{সা ও নেহাত সুগম ছিলনা ; পানের নৌকা ও গহণার নৌকাই মোক দমাবাজ জনসাধারণকে १३न कझेिद्मा त्रानिङ ।