পাতা:ঐতিহাসিক চিত্র - পঞ্চম পর্য্যায়.pdf/১৪২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ইংরেজ শাসনে বিক্রমপুর । 9) নাই । কিন্তু ঐ দিবসই সংবাদ পাওয়া গেল যে, চট্টগ্রামের সিপাহীগণ বিদ্রোহী হইয়া ধনাগার লুণ্ঠন করিয়া প্ৰায় তিন লক্ষ টাকা লইয়া গিয়াছে। এ সংবাদে গবৰ্ণমেণ্ট ঢাকার সিপাহীগণকে নিরস্ত্ৰ করিবার মন্তব্য স্থির করিলেন ও পরদিবস ভোর প্রায় পাচটার সময় সিপাহীদিগকে নিরস্ত্ৰ করি।-- বার নিমিত্ত ইউরোপীয়গণ উপস্থিত হইলেন । কমিশনার, জজ, ম্যাজিষ্ট্রেট প্রভৃতির উপস্থিতিতে নির্দিষ্ট সঙ্কেত।ানুযায়ী প্ৰথমে ধনাগারের প্রহরী দিগের হস্ত হইতে অস্ত্ৰ গ্ৰহণ করা তাইল । সিপাহীগণ এ ব্যাপারে বিশেষ অসন্তুষ্ট প্ৰকাশ করিয়াছিল, এমন কি কোন কোন সিপাহী এই গঠিত কাৰ্য্যের নিমিত্ত তাঁহাদের উৰ্দ্ধতন কৰ্ম্মচারীকে ভৎসনা করিতেও পশ্চাৎপদ হয় নাই। অতঃপর নৌসৈনিকগণ লালবাগের দিকে গমন, করিল, প্রথম অবস্থা দেখিয়া আশা করা গিয়াছিল যে, কোনওরূপ গোলযোগ উপস্থিত হইবে না, অতি সহজেই সিপাহীগণ গবর্ণমেণ্টের প্রস্তাবে স্বীকৃত হইয়া তাহদের অস্ত্রশস্ত্ৰসমূহ প্ৰত্যাৰ্পণ করিবে, কিন্তু কাৰ্য্য কালে তাহা সত্য বলিয়া প্ৰতিপন্ন হইল না । সিপাহীগণ বাধা দিতে প্ৰস্তুত হইল, সুতরাং উভয় পক্ষে একটু সামান্য রূপ যুদ্ধ বাধিল, ঐ যুদ্ধে সিপাহীগণের পক্ষে চল্লিশজন হত হইয়াছিল, অবশিষ্ট সিপাহীগণ মৈমনসিংহ ও শ্রীহট্টের দিকে পলায়ন করিল, কিন্তু অবশেষে ইহাদের মধ্যে কতকজন ধৃত হইয়া প্ৰাণদণ্ডে দণ্ডিত ই ইয়াছিল। বোধ হয়, বিদ্রোহী সিপাহীগণের কেহ কেহ ভুটানে পলায়ন করিয়া জীবন রক্ষা করিতে পারিয়াচিল । এই সামান্য লড়াইয়ে ইংরেজ পক্ষে একজন হত, ও প্ৰায় ১৩ জন লোক আহত ব্যতীত আর কোনও দুর্ঘটনা ঘটে নাই । সিপাহী-বিদ্রোহের কোনওরূপ গোলযোগে বিক্রমপুরবাসী দিগকে বিপদাপন্ন হইতে হইয়াছিল, এরূপ কোন ও কথা শুনিতে পাওয়া যায় না । তবে জনপ্ৰিবাদ হইতে জানিতে পারা যায় যে, পরাজিত