পাতা:ঐতিহাসিক চিত্র - পঞ্চম পর্য্যায়.pdf/১৬৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

খণ্ডগিরি ও উদয়গিরি। ^ò (9ò নিম্নে সমতল ভূমিতে এই দেবসভা বহুদুর বিস্তৃত। মধ্যস্থলের স্তম্ভ *{२दू७, ३१ांकू७ দুইটি অপর অপর স্তম্ভ হইতে কথঞ্চিৎ উচ্চ ও ও আকাশগঙ্গা । উহার দিকে দুইটি বুদ্ধের প্রতিমূৰ্ত্তিও রহিয়াছে। দেবসভার পূৰ্ব্বদিকে কিয়দপুরে গমন করিলে, ভিন্ন ভিন্ন স্তানে তিনটি কুণ্ড দেখিতে পাওয়া যায় ; একটর নাম শ্যামকুণ্ড একটীর নাম রাধাকুণ্ড ও অপরটির নাম আকাশগঙ্গা ৷ ” এই জলাশয় কয়টির 'মাকৃতিই চতুষ্কোণ ও প্ৰস্তরগ্রথিত ; অবতরণের নিমিত্ত সোপানাবলীও রাভয়াছে, ইহাদের সহিত একটি প্রস্রবণের সংযোগ আছে, তাহা না হইলে এইরূপ উচ্চ পর্বতোপরি জল থাকা সম্ভবপর হইত না । শ্যামকুণ্ড ও রাধাকুণ্ডের জল অতি সুন্দর ও স্বচ্ছ, বহু ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র মৎস্ত সলিল মধ্যে থেলিয়া বেড়াইতেছে । আকাশগঙ্গার জল বিবৰ্ণ, অপরিস্কার ও দুৰ্গন্ধ{বশিষ্ট ; কে জানে কতকাল হইতে ইহার এইরূপ অব্যবহাৰ্য্য অবস্থায় পড়িয়া রহিয়াছে । এক কালে ইহাদের সুস্নিগ্ধ শীতল ও. নিৰ্ম্মল সলিল রাশিই বোধ হয় গুম্ফাবাসীদিগের তৃষ্ণা নিবারণ করিত । বৌদ্ধযুগের ও বৌদ্ধভিক্ষুগণকৰ্ত্তক ব্যবহৃত এসকল কুণ্ডের নাম “শ্যামকুণ্ড’ ও ‘ রাধাকুণ্ড” শুনিয়া আশ্চৰ্য্যান্বিত হইতে হয় । বোধ হয়, ইহা হিন্দুদের কর্তৃক আধুনিক এইরূপ নূতন নামে অভিহিত হইয়া থাকিবে । খগুগিরি দর্শনাস্তে আমরা উদয়গিরি দর্শন করিতে গমন করিলাম, এখনও যাহা কিছু দেখিবার তাহা উদয়গিরিতেই আছে । ই চার অপর নাম ললিত গিরি । অমর কবি বঙ্কিমচন্দ্র এই পৰ্ব্বতের ক্ষোদিত প্ৰস্তরমূৰ্ত্তি সমুখ দর্শন করিয়া লেখনিমুখে যাহা ব্যক্তি করিয়া গিয়াছেন, পাঠকগণের তৃপ্তির জন্য এবং শিল্প-নৈপুণতার অনিৰ্ব্বচনীয় মত স্তু বুঝাইবার জন্য এস্থানে উল্লেখ না করিয়া থাকিতে পারিলাম না। উদয়গিরির প্রতি গুম্ফার নিকট যখন যাইতেছিলাম ও বিমুগ্ধ চিত্তে দর্শন করিতেছিলাম- তখনই তঁহার সেই অমর বর্ণনা-কাহিনী ১ ১ (, ৫ম বর্ষ ) উদয়গিরি ।