পাতা:ঐতিহাসিক চিত্র - পঞ্চম পর্য্যায়.pdf/১৮২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বিদ্রোহের পর বঙ্গের অবস্থা । S প্রাসাদে আনয়নার্থ নিজ পুত্ৰদ্ধয় সুলতান কেরামুদ্দীন ও সুলতান ফেব্রুকশোরকে প্রেরণ করেন । সাধুর আশ্রমে উপনীত হইলে, সাধু দণ্ডায়মান হইয় তাহদের অভ্যর্থনা করতঃ মঙ্গলাশীৰ্ব্বাদ করেন। সুলতান কেরামুদ্দীন স্বীয় বংশগেীরবে অতিশয় গৰ্ব্বিত ছিলেন ; কাযেই অশ্ব হইতে অবতরণ পূর্বক সাধুর প্রতি সম্মান প্রদর্শন নিম্প্রয়োজন জ্ঞান কারলেন, কিন্তু সুলতান ফেব্রুকশের বিধিমতে ফকীরের প্রতি সম্মান প্ৰদৰ্শন করিলে, ফকীর সন্তুষ্ট হইয়া তাহাকে হাত ধরিয়া পাল্কীতে তুলিয়া দেন এবং আশীৰ্ব্বাদ করেন,-“তুমিই সম্রাটু, উপবেশন কর। ; সৰ্ব্বশক্তিমান পরমেশ্বর তোমার মনোবাঞ্ছা পূর্ণ করিবেন।” তৎপর উভয়ে একত্রে এক পাল্কীতে যুবরাজ- প্রাসাদে গমন করেন । যুবরাজ মহাসমাদরে সুফীকে অভ্যর্থনা করিয়া স্বীয় গুপ্তকক্ষে উপবিষ্ট করাইয়া তাহার আশীৰ্ব্বাদ প্রার্থনা করিলেন । যুবরাজ প্রকাশ করেন যে, সর্বাপেক্ষ তাহার 'অধিক আকাজক্ষার বিষয়-দিল্লীর সিংহাসন ; তাহা যেন ঠাহার হস্তগত হয়, ইহাই সাধুর নিকট তাহার প্রার্থনা। যুবরাজের বাক্য শেষ হইলে সুফী বলিলেন,-“তোমার যাহা প্রার্থনা বা প্ৰয়োজন, তাহা ইতিপূব্বেই আমি ফেব্রুকশোরকে প্ৰদান করেছি । ধনুক হ’তে তীর ছুটুলে যেমন তাহা আর ফিরে আসে না। আমার আশীৰ্ব্বাদ-বাণীও তেমনি প্ৰত্যাহার করা যায় না ।” সুফার কথা শুনিয়া যুবরাজ বড়ই দুঃখিত এবং চিন্তিত হইলেন । এক্ষণে সাধুকে আর অনুনয় বিনয় করাও বৃথা বিবেচনা করিয়া সম্মানের সহিত ভঁাহাকে বিদায় করিয়া দিয়া রায়গঞ্জের আবদল কাদের নামক সাধুর শরণাপন্ন হন। হুগলী, হিজলী, মেদিনীপুর এবং বৰ্দ্ধমান প্রদেশের বন্দোবস্ত শেষ করিয়া আজিম ওস্মান জাহাঙ্গীর নগরে যাইবার উদ্যোগ আরম্ভ করিলেন। চট্টগ্রামের জলদসু্যাগণের দমনের নিমিত্ত সাহি সুজা কর্তৃক যে সকল নেীয়রা নিৰ্ম্মিত হইয়াছিল, তাহা সজ্জিত হইয়া যুবরাজকে বক্ষে ধারণ