পাতা:ঐতিহাসিক চিত্র - পঞ্চম পর্য্যায়.pdf/৪৫৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

মৌৰ্য্যরাজ চন্দ্ৰগুপ্ত ও আঁহার শাসন প্ৰণালী । পূর্বকথা । দিগ বিজয়ী আলেকজেন্দর পশ্চিম ভারতের কতকাংশের উপর আপিপত্য বিস্তার করিয়া ভারত ঠাইহে প্ৰত্যাগমন করিলে গ্ৰীকের আপনাদিগকে সমৃদ্ধিশালী ভারতের অধিপতি ভাবিয়া কতটা গৰ্ব্বমুগ্ধ হইয়াছিল ; কিন্তু মেসিদিন পতির গমনের পর তিন বৎসর কাল অতীত তইতে না হইতেই ‘ভারতবাসী তা তাদের অধীনত শৃঙ্খল দূৰীকৃতি করিয়া আবার সগৌরবে আপনার বিজয় কাহিনী গাইতে আরম্ভ করে । এসিয়ার অন্যান্স প্রদেশে দৃঢ় ভাবে আসন বিস্তারে সমর্থ তইয়া ও যখন গ্ৰীকেরা ভারত করতলগত রাখিতে পারে নাই তখন স্পষ্টষ্ট বুঝতে পারা যায় যে, তৎকালে ভারত নৈসৰ্গিক ধনের ন্যায় শৌৰ্য্য বীৰ্য্যে ও অন্যান্য দেশাপেক্ষা বিশেষ সমৃদ্ধিশালী ছিল । মধা ও পশ্চিম এসিয়াধিপতি গ্ৰীক বীর সিলি উকস নিকোটির যখন ভারত পুনরাধিকার করিবার জন্য বিপুল উদ্যামের সহিত সিন্ধুনদ অতিক্রম করেন, তখন মৌৰ্য্য পতি চন্দ্ৰ গুপ্ত মগধেব গৌরবো জ্বল সিংহাসনে বসিয়া ভারতেব শাসনদণ্ড পরিচালনা করিতে ছিলেন । মৌৰ্য্যপতি সিলিউকিসের অভ্যর্থনার জন্য যে সৈন্য বাহিনী প্রেরণ করেন, তাহদের স’তে ত প্ৰায় পঞ্চ বর্ষাকাল যুকিয়াও সিলিউকাস যখন ভারতাধিকারের কিছুই করিয়া উঠিতে পারিলেন না, অধিকন্তু পুনঃ পুনঃ পরাজয়ে গ্রীনবল হইয়া পড়িলেন, তখন বাধ্য হইয়া গ্ৰীক বীর বর্তমান আফগানি স্থান রাজ্য মগধেশ্বরকে দান করিয়া অতি দীন ভাবে সন্ধি প্ৰাৰ্থনা করিলেন । এই