পাতা:ইন্দুমতী - যতীন্দ্রনাথ মুখোপাধ্যায়.pdf/১৭৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
দ্বিতীয় খণ্ড-সপ্তম সর্গ।
১৫৯

নাচায়ে তরণী কত সোহাগের ভরে,
অনন্ত প্রেমের গান তাহারে শুনায়।
নির্ম্মল শীতল বায়ু,যেন সুধাধারা।
ঢালিয়া মানব প্রাণ করে শান্তিময়।
 রজনী আসিলে সব লুকাইয়া যায়,
তিমিরে ঢাকিয়া ফেলে প্রকৃতি বদন।
ফুটে উঠে কত তারা আকাশ উপরে,
প্রতিবিম্ব কাঁপে ধীরে সলিল ভিতরে।
আকাশ নামিয়া এসে সলিলের সাথে
মিলাইয়া যায় তা’র প্রেম পারাবারে।
 তাহারা সকলে দেখে মহিমা মণ্ডিত
প্রকৃতির এই খেলা। বোধ হয় যেন
এক সুরে আছে বাঁধা আকাশ,পাতাল,
অনল,অনীল আর সারাটি সংসার,
বিহগ কূজন, আর পল্লব মর্ম্মর;
জলস্থল,মানবের হৃদয়-ঝঙ্কার,
ইহকাল,পরকাল,জন্ম,জন্মান্তর,
পরস্পর সাথে আছে এক সুরে বাঁধা।
 দেবব্রত এই সব বিষয় লইয়া
আলোচনা করিতেন তাঁ’দের সহিত,
ঢালিয়া দিতেন প্রাণে সুখ শান্তি ধারা,
রাধিকা,নবীন কত হ’ত বিমোহিত।