না। সে যদি মাছগুলো গঙ্গার জলে ফেলিয়া দিত, কিংবা—আর যাহাই করুক, শুধু টাকা-কড়ির সহিত ইহার সংস্রব না ঘটাইত, তাহা হইলে আমাদের এই মৎস্য-সংগ্রহের অভিযানটিকে কেহ চুরি বলিলে ক্রোধে বোধ করি তাহার মাথাটাই ফাটাইয়া দিতাম এবং সে তাহার ন্যায্য প্রাপ্য পাইয়াছে বলিয়াই মনে করিতাম। কিন্তু ছিঃ, ছিঃ! এ কি! একাজ ত জেলখানার কয়েদীরা করে!
ইন্দ্র কথা কহিল, জিজ্ঞাসা করিল, তুই একটুও ভয় পাস্নি, না রে শ্রীকান্ত?
আমি সংক্ষেপে জবাব দিলাম, না।
ইন্দ্র কহিল, কিন্তু তুই ছাড়া ওখানে আর কেউ ব’সে থাকতে পারত না, তা জানিস্? তোকে আমি খুব ভালোবাসি—আমার এমন বন্ধু আর একটিও নেই। আমি যখন্ আস্ব, তোকে শুধু ডেকে আন্ব, কেমন?
আমি জবাব দিলাম না। কিন্তু এই সময়ে তাহার মুখের উপর সদ্য মেঘমুক্ত যে চাঁদের আলোটুকু পড়িল, তাহাতে মুখখানি কি যে দেখাইল, আমি এতক্ষণের সব রাগ-অভিমান হঠাৎ ভুলিয়া গেলাম। জিজ্ঞাসা করিলাম, আচ্ছা ইন্দ্র, তুমি কখন ঐ সব দেখেচো?
কি সব?
ঐ যারা মাছ চাইতে আসে?
না ভাই দেখিনি—লোকে বলে, তাই শুনেচি।
আচ্ছা, তুমি এখানে একলা আসতে পারো?
ইন্দ্র হাসিল। কহিল, আমি ত একলাই আসি।
ভয় করে না?
না। রামনাম করি। কিছুতে তারা আস্তে পারে না। একটু থামিয়া কহিল, রামনাম কি সোজা রে? তুই যদি রামনাম কর্তে কর্তে