পাতা:অনাথবন্ধু.pdf/১২৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

Y 0.9 shphd hidha h s


ru

হইবে অর্থাৎ ক্রমান্বয়ে সী, মা, গা, কয়েকটি সুর লাগাইতে BDSS SD DBB DDSDD DDDDBD BBBB BDBBD D DD একেবারে সা হইতে মা পর্য্যন্ত উঠিতে হইবে, আবার মা হইতে গ’তে নামিতে হইবে। সা, ঋ, গা, মা, পা, ধা, নি, এই সপ্ত স্বরের প্রত্যেক সুরটি এক, দুই, তিন, চারি মাত্রিক সময়ের মধ্যে অর্থাৎ এক, এক-দুই, এক-দুই-তিন, এক-দুই-তিন-চারি, এই কয়েকটি সংখ্যা বলিতে যে সময় লাগে, এইরূপ তুল্য সময় অন্তর সুর ভাজ। তৎপর প্রত্যেক দুইটি কি তিনটি সুরের প্রতি এক বা ততোধিক সংখ্যা উচ্চারণ করিতে যে সময় লাগে, তত সময় অন্তর উচ্চারণ কর । এই স্বরগ্রাম অভ্যাস হইলে কড়ি ও কোমল স্বরগুলি দিতে শিক্ষা করিবে। ইতিপূর্ব্বে বলা গিয়াছে, দুই সুরের মধ্যের সুরকে কড়ি সুর বলে । যেমন মা হইতে পা সুর না দিয়া উহাদের মধ্যের সুর দিলে৷ কড়িমধ্যম সুর নির্গত হইবে। সা আর খ্যার মধ্যের সুর দিলে৷ কড়িখরজ । এই-- রূপে কড়ি সুরগুলি দিতে শিখিলে কণ্ঠের জড়তা অনেকাংশে দূরীভূত হইতে পরিবে। গীতের সুরই প্রধান। কণ্ঠে সুরগুলি পরিষ্কার এবং নিয়মিতরূপে যথাক্রমে তানপুরার সহিত প্রকাশ করিতে পারিলে সকল প্রকার গানই কণ্ঠদ্বারা সুসম্পন্ন হয়। এ স্থলে তানপুরার চিত্রটি পাঠকগণের চিত্তরঞ্জনের জন্য প্রকাশিত হইল, ইহাদৃষ্টে তানপুরা রাখিয়া অভ্যাস করা সহজ হইবে । al Id -dix স্বরসাধকদিগের কতকগুলি অতি আবশ্যক নিয়মের অধীন থাকিতে হয়; তাহা না হইলে স্বরসাধনে সিদ্ধিলাভ হইতে পারে না। স্বরসাধন যোগসাধনের একটি অঙ্গ । যোগশাস্ত্র। যেমন সৎগুরুর নিকট শিক্ষালাভ করিয়া সাধন BDBBB DSDBLDDLD BBBBD BDDSDBDYD BD DBD অনাথবন্ধু। [ প্রথম বর্ষ, শ্রাবণ, ১৩২৩ ৷৷ নিয়মিত শিক্ষা করিয়া স্বরসাধন করিতে হয় । যোগসাধন করিতে হইলে যেমন ইন্দ্রিয়সকলকে জয় করিয়া সুস্থ শরীর ও সুস্থ মন হওয়ার আবশ্যক, সঙ্গীতশাস্ত্রের শিক্ষা আরম্ভ করিতে গেলেও ঠিক সেইরূপ আবশ্যক করে । সঙ্গীতসাধক, ব্রাহ্মমুহুর্তে শয্যা হইতে উঠিয়া প্রাতঃকৃত্য সমাধা করিয়া ভগবানের নাম স্মরণপূর্বক ভঁাহাকে ধ্যান করিয়া পূর্ব বা উত্তরাস্ত হইয়া যোগীর ন্যায় সিদ্ধ বা স্বস্তিকাসনে তানপুরাহন্তে উপবেশন করিবে এবং সুরগুরু মহাদেবকে প্রণাম করিয়া তৰ্জনী অঙ্গুলিদ্বারা তন্ত্রচতুষ্টয়াকে প্রতিহত করিবে। সেই তন্ত্রচতুষ্টয় হইতে যথাক্রমে যে সুর নির্গত হইবে, তাহাতে নিজ কণ্ঠস্বর যোগ করিয়া প্রথম বহু দিন পর্য্যন্ত স্যা, ঋ, গা, মা সাধন করিতে থাকিবে । কণ্ঠের প্রধান শত্রু শোত্মা। এই শ্লেষ্মাকে প্রতিনিয়ত দমনে রাখা সঙ্গীতসাধকের পক্ষে নিতান্ত আবশ্যক । ইহার নিমিত্ত নিত্য-নৈমিত্তিক আয়ুর্ব্বেদনীতির অনুসরণ করিয়া চলিতে হয়। আয়ুর্ব্বেদে যে সকল ঋতুচর্য্যা লিখিত আছে, শীত,গ্রীষ্মাদি যে ঋতুতে যেরূপভাবে চলিতে হয়, যে যে বস্তু আহার করিলে ঋতুর সমতা ও শ্লেষ্মার দমন হয় এবং ঋতুবিকার দেহকে স্পর্শ করিতে পারে না, সেইরূপভাবে আহারবিহারাদিতে চালিত হওয়া কর্ত্তব্য’। সঙ্গীতে দেহস্থ সকল স্থানের ও সকল যন্ত্রের ক্রিয়া সাধিত DS DBBD BD BDDBDB 0t BBD DDD SBBDS BDDBDS সঙ্গীত আনন্দ ও আরোগোর জিনিস, পাপদেহ ও ব্যাধিপীড়িতদেহে সঙ্গীতসাধন কিছুতেই হইতে পারে না। সঙ্গীতসাধনে বক্ষঃস্থল বিস্তৃত হয়, কণ্ঠনালী শ্লেষ্মাশূন্য ও সরল হয়, ফুসফুস ও হৃদপিণ্ড বলবান ও নিৰ্দোষ হয়, দেহে কফ ও মলবিকার আদৌ থাকে না, ঘর্ম্মদ্বারা লোমকূপসকল পরিষ্কার হয়, ধমনী সকলের রক্তচলাচলকার্য্য বৃদ্ধি হয়, শরীরের জড়তা নষ্ট করে, পাকস্থলীর অগ্নি বৃদ্ধি হয়, ক্ষুধা হয়, কোষ্ঠ পরিষ্কার হয়, চিত্ত প্রফুল্ল হয়, ঋতুবিশেষে সঙ্গীত গীত হইলে যাবতীয় ঋতুজাত রোগের শান্তি হয়, দেহস্থ পাপ, শোক ও কুচিন্তা সকল দমন হয়। সঙ্গীত আসন্ন মৃত্যু ও আসন্নবিপদ হইতেও মনুষকে রক্ষা করিতে সমর্থ হয়। মুমূর্ষাবস্থায় সঙ্গীত-সুধাদ্বারা জীবাত্মায় জীবনীশক্তি প্রবাহ খেলে, জীবকে ব্রহ্মশক্তিতে তন্ময় করিয়া মুক্তিপথের পথিক করে। সঙ্গীতসাধক নিত্যনিয়মিত সূর্য্যোদয়ের পূর্ব্বে স্নান অভ্যাস করিবেন, কদাচ রুক্ষ্ম ব্যবহার করিবেন না, নিত্য নিরামিষ আহার করিবেন, মিষ্টদ্রব্য অধিক সেবন করিবেন। না, ঋতু-হরিতকী সেবন করিবেন। ঘন দুগ্ধ, ক্ষীর, দধি পরিত্যাগ করিবেন। বন্ধ দুগ্ধ, মিশ্রি, উষ্ণ আতপ অন্ন নিত্য স্বতসংযোগে ব্যবহার করিবেন। মরিচ, পিপুল, বচ, নিম ব্যবহার করিবেন। কাংসপাত্র ব্যবহার করিবেন না, কদলী es