পাতা:অনাথবন্ধু.pdf/৫১৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

পঞ্জিকা —পঞ্চাঙ্গশোধন [ কলিকাতা সংস্কৃত কলেজের জ্যোতিষশাস্ত্রাধ্যাপক শ্রী রাধাবল্লভ স্মৃতি ব্যাকরণজ্যোতিষতীর্থ কর্তৃক লিখিত। ] [ পূর্বপ্রকাশিতের পর। ] ২ । দ্বিতীয় আপত্তি,--প্রাচীনমতে গণনা কবিলে বাণীবৃদ্ধি রসক্ষয় হয়, কিন্তু দৃকতুল্য গণনা করিলে সপ্তবৃদ্ধি দশক্ষায় হইয়া থাকে। সুতরাং দুকতুল্য গণনা গ্রহণীয় নহে। উত্তর-বাণীবৃদ্ধি রসক্ষয় তিথির লক্ষণ নহে। স্কুটিরবি ও স্মৃটিচন্দ্রের অন্তরের প্রতি দ্বাদশাংশে এক এক তিথি হয়। সূর্য্যসিদ্ধান্ত হইতে রঘুনন্দনকর্তৃক তিথিতত্ত্বে উদ্ধত হইয়াছে— আর্কাদ্বিনিসৃত: প্রাচীং যদযাতাহরতঃ শশী । ভাগৈৰ্দ্ধােদশভিস্তং স্যাৎ তিথিশ্চান্দ্রমাসং দিনং | বিষ্ণুধর্ম্মোত্তরপুরাণ হইতেও তিথির লক্ষণ রঘুনন্দন উদ্ধৃত করিয়াছেন— ত্রিংশাংশকস্তথা রাশোের্ভাগা ইত্যভিধীয়তে । আদিত্যাদ্বিপ্রকৃষ্টস্ত ভাগদ্বাদশকাং যদা । চন্দ্রমাঃ ন্যাৎ তদা, রাম তিথিরিতাভিধীয়তে ৷ রবির গতি অপেক্ষা চন্দ্রের গতি অধিক । চন্দ্র যত সময়ে গত্যন্তর দ্বারা রবি হইতে এই দ্বাদশাংশ অন্তরিত হয়, তাবৎকাল এক তিথির পরিমাণ । দৃকতুল্য গ্রহসাধনের জন্য ভিন্ন ভিন্ন সময়ে ভিন্ন ভিন্ন গ্রন্থকার ভিন্ন ভিন্ন পরম মন্দািফল গ্রহণ করিয়াছেন । বর্ত্তমান সময়ে চন্দ্র ও সুর্য্যের যে পরম মন্দািফল গৃহীত হইতেছে, তাহাতে বাণ বৃদ্ধি রসক্ষয় হইতেছে সত্য, কিন্তু এই পরম মন্দাফলে দৃকতুল্য হয় না জন্য দৃকতুল্য গণনায় পরম মন্দাফলের পরিবর্তন করিতে হইয়াছে, সুতরাং ইহাতে সপ্তবৃদ্ধি দশক্ষায় হইতেছে। দৃকতুল্য গ্রহসাধনই জ্যোতিষশাস্ত্রের উদ্দেশ্য ; ইহাতে যখন যেরূপ পরম মন্দফল গ্রহণ করিলে দৃকতুল্য হয়, তাহাই গ্রহণ করিতে হইবে । কলিকাতা সংস্কৃত কলেজের ভূতপূর্ব জ্যোতিষশাস্ত্রাধ্যাপক স্বৰ্গীয় পঞ্চানন সাহিত্যাচার্য্য মহাশয়, পঞ্চাঙ্গাপ্রভাকর নামক পুস্তকে লিখিয়াছেন— “মকরন্দ-সারণীতে তিথির পরম হ্রাস ও পরম বৃদ্ধি বাণবৃদ্ধি রসক্ষয়ের কাছাকাছি দেখা যায়। ইহার কারণ জানিতে হইলে চন্দ্রে যে ফলসংস্কার করা হইয়া থাকে, তাহার মূলনিয়মের অনুসন্ধান করা আবশ্যক ।। ৯০ অংশ কেন্দ্রে যে ফল হয়, তাহাকে পরমফল বলে। সূর্য্যসিদ্ধান্তে সমপাদান্তে চন্দ্রেন্ম পরমফল ৫৫৩৬; বিষমপদান্তে ৫২/৩০ বলিয়াছেন। A. R १०.sbr>४२२२४zब+- ०.०३b c७z88०→त द=> <_':- মকরনদ ইহা মান্য করিয়া চলেন নাই । তিনি সর্বত্র পরমফল ৫২৪৮ মানিতেছেন । গুপ্তপ্রেসাদি পঞ্জিকার আধারভূত গ্রন্থের কর্তা রাঘবানন্দ ৯০ অংশ কেন্দ্রে পরমফল ৪৫৫ কলা মানিতেছেন, ইহা সূর্য্যসিদ্ধান্ত হইতে সম্পূর্ণ ভিন্ন । কিন্তু ইহা বরাহ-মিহিরের সংশোধিত পঞ্চসিদ্ধান্তিকার BDBBSS BBDSDD BBOLSD DBDBBD DDDH KBBDD DBBDSDDDSS SDDDDD LLBuY BDDBBDBDLDB gBDL0LDYYSLcLS বিকলা প্রভেদ ও চন্দ্রোচ্চে প্রতিচক্রে + বিকলা প্রভেদ স্থির করিয়া গ্রন্থ লিখিয়াছেন । রাঘবানন্দ তিন হাজার বৎসরে চন্দ্রকেন্দে এক অংশ অধিক করিতে হইবে স্থির করিয়া গ্রন্থ লিখিয়াছেন । আধুনিকের মধ্যমচন্দ্রে ভেদ छेशक->७२२ А о о স্থির করিতেছেন । লাল্লাচার্য্য পরম মন্দাফল ৫১, ভাস্করাচার্য্য ৫২৮ মানিয়াছেন। পূর্ব্বাচার্যাদিগের পরীক্ষালব্ধ ফলস্বরূপ পরম ফালগুলির আলোচনা করিয়া সহজেই স্থিরসিদ্ধান্ত করিতে পারা যায় যে, চন্দ্রের পরমফল “চল” অর্থাৎ পরিবর্তনশীল। বাস্তবিক ও আধুনিক গণিতজ্ঞেরা সহস্ৰ সহস্র পরীক্ষাদ্বারা ঠিক স্থির করিয়াছেন যে, চন্দ্রের পরমফল ‘চল’ হইয়া থাকে। চন্দ্রোচের অবস্থিতি অনুসারে কখন ৭৪০ চন্দ্রের পরম মন্দাফল হয়, কিন্তু উচ্চোর কোন কোন অবস্থিতিতে কখনও লাল্লাচার্য্যের স্বীকৃত ৫১ পরম মন্দাফল হইয়া থাকে। এই জন্য প্রথমে ঐ উভয়বিধ পরম মন্দাফলের যোগাৰ্দ্ধ, ৬।২০।৩০ পূর্ব্বাচার্য্যোক্ত প্রণালীতে মধ্যম চন্দ্রে সংস্কার করিতেছেন। আর অবশিষ্ট মন্দাফলের ংস্কার কিঞ্চিদন্যভাবে করিতেছেন। পরবত্তী মন্দাফলের ংস্কারগুলিকে বীজসংস্কার নাম দিতেছেন। এখন বেশ বুঝিতে পারিবেন যে, যথার্থ মন্দাফল সংস্কার করিয়া সূর্য্যসিদ্ধান্ত বচনানুরূপ ঠিক দৃকতুল্য চন্দ্রগণনা করিয়া তিথিসাধন করিলে পরমাল্পমান ৫০ দণ্ড এবং পরমাধিকমান ৬৭ দণ্ড হইয়া থাকে । আর পরম মন্দাফল ৪৷৫৫ ইত্যাদির কোন একটি স্বীকার করিয়া চন্দ্রগণনা করিয়া তিথিসাধন করিলে তিথিমান ৫৩ হইতে ৬৬ দণ্ডের মধ্যে থাকে । এরূপ তিথি অশুদ্ধ, তাহা আর বলিয়া বুঝাইতে হইবে না ; পরামফলের আলোচনায় তাহা স্পষ্টই বুঝা যায়। তিনি अब्रि७ वणिशांछन