পাতা:গীতরত্ন গ্রন্থঃ (১৮৭০)- রামনিধি গুপ্ত.djvu/৫২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
[ ২৯ ]
মালকোষ রাগ তাল হরি।

নয়ন মন ডুবিল প্রাণ নয়নে তোমার।
ত্রিবেণী নয়ন, বেগ অতি ঘন, বহে তিন ধার॥
পলক পবন বয় যমুনা প্রবল হয়,
প্রলয় যেমন, তরঙ্গ তেমন, অপার পাথার ॥ ১ ॥

একি তোমার মানের সময় সম্মুখে বসন্ত।
দেখ কুসুম কাননে, বিহরয়ে অলিগণে, হরিষ নিতান্ত॥
মন্দ মন্দ সমীরণ, বহে অতি ঘনে ঘন, মদন দুরন্ত।
মনেতে বুঝিয়ে দেখ,বাহ্যতে উদয় দেখ,যামিনীর কান্ত ॥১
অতি সুমধুর রব, করয়ে কোকিল সব, হও হরষিত।
ইথে যদি থাকে মান, ঋতুরাজের অপমান? জানহএকান্ত ॥২

কণক লতা বিনে লতা কি লতায় দাঁড়ায়ে হোথা।
দামিনী হইত যদি না হতো স্থিরতা,
ইথে বোধ হয় এই হবে স্বর্ণলতা ॥ ১ ॥

মধুর বসন্ত খতু হে কান্ত যাবে কেমনে।
হেরি ঋতুরাজ, প্রবল মনজ, বুঝহে মনে॥
মলয়া মারুত, বহিছে সদত, কোকিল কাননে।
তার কুহুস্বরে, বিরহিণী শরে, জ্বলিত প্রাণে ॥ ১ ॥

তাল একতাল।

আইলে হে বিরহিণীর প্রাণ।
আনন্দ সাগরে মোর ভানিছে নয়ন॥