ব্যবহারের কিয়ৎপরিমাণে পরিচয় পাওয়া যায়।[১] সিরাজদ্দৌলা সন্তুষ্ট হইলেন কি না জানিবার উপায় নাই; কিন্তু ইংরাজদিগের বিশ্বাস হইল যে, তিনি ইংরাজদের উপর বড়ই সন্তুষ্ট হইয়াছেন। ইহাতে কৃতার্থম্মন্য হইয়া কলিকাতার ইংরাজগণ ১৭৫২ খৃষ্টাব্দে ১৮ই সেপ্টেম্বর তারিখের পত্রে বিলাতে সেই শুভসংবাদ জ্ঞাপন করিলেন।[২]
ইংরাজদিগের এই পত্র পড়িয়া মনে হয় যে, সিরাজদ্দৌলার মতিগতি পরিবর্তনের জন্য উৎকোচ উপঢৌকন দিয়াও তাঁহারা একেবারে নিশ্চিন্ত হইতে সাহস পান নাই। কেবল দিন কতকের জন্য কথঞ্চিৎ নিরাপদ হইলেন বলিয়াই এত আনন্দোচ্ছাস!
এইবার রাজ্য-পরিদর্শন উপলক্ষে সিরাজদ্দৌলা নানা স্থানে পরিভ্রমণ করিয়া যেমন অনেক উপঢৌকন প্রাপ্ত হইলেন, সেইরূপ অনেক স্থানেই তাঁহার এবং তাঁহার পারিষদবর্গের অত্যাচারে লোকের নিকট তাঁহার প্রবল প্রতাপ প্রকাশিত হইয়া পড়িল। মহারাষ্ট্রদমনে নিরন্তর শিবিরে শিবিরে পরিভ্রমণ করিয়া আলিবর্দ্দীর স্বাস্থ্যভঙ্গ হইয়াছিল, সুতরাং এই সময় হইতেই সিরাজদ্দৌলা যৌবরাজ্যে অভিষিক্ত হইয়া অনেক পরিমাণে রাজকার্যে লিপ্ত হইতে আরম্ভ করিয়াছিলেন।