পাতা:ছায়া-বিজ্ঞান - মন্মথনাথ চক্রবর্তী.pdf/৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।
ছায়া-বিজ্ঞান।

বাঁকিয়াছে, পুনরায় যখন ঘনস্তর হইতে লঘুস্তরে বহির্গত হইয়াছে তখনই লম্ব রেখা হইতে দূরবর্ত্তী হইয়া গিয়াছে। এইরূপ বায়ু হইতে জলে, জল হইতে কাচে বা বায়ু হইতে কাচে প্রবিষ্ট হইবার সময় ক্রমান্বয়ে বাঁঁকিয়া যাইবে। আলোকের এই বক্রকারিতা ধর্ম্মকেই আলোক-বক্রীভবন ( Refraction of light ) কহে; এবং ইহাকেই দৃষ্টি বিজ্ঞানের প্রধান মুল বা সুত্র বলা যাইতে পারে।

 পার্শ্বস্থিত এই চিত্র ঝাড়ের কলম বা কোন ত্রিপার্শ্ব বিশিষ্ট স্বচ্ছ কাচ খণ্ডের (Prism বা প্রিজ্‌মের) মধ্য দিয়া পূর্ব্বোক্ত প্রকারে একটা আলোক-রশ্মি প্রবিষ্ট করাইলে পূর্ব্বের ন্যায় বিন্দু রেখায় দিকে যাইল।

 পার্শ্বস্থিত চিত্রের ন্যায় দুইটী কাচ বা প্রিজ্‌ম উপর্য্যুুপরি রাখিয়া দুইটী সমান্তর আলোক-রশ্মি প্রবিষ্ট করাইলে, পুর্ব্ববর্ত্তী চিত্রের নিয়মানুসারে বাঁঁকিয়া ক্রমে বহির্গত ইবার সময় রশ্মি দ্বয় মিলিত হইয়া যাইবে। আবার দুইটী প্রিজ্‌ম কিনারায় কিনারায় রাখিয়া পুর্ব্বোক্ত প্রকারে অালোক-রশ্মি প্রবিষ্ট করাইলে পূর্ব্ব নিয়মানুসারে অালোক বাঁঁকিয়া ক্রমে ক্রমে রশ্মিদ্বয় অন্তর হইয়া যাইবে। এইরূপ দুই দুইটী প্রিজ্‌মের ভিন্ন ভিন্ন সমষ্টিতে আলোক রশ্মি ও ভিন্ন ভিন্ন প্রকার হইয়া যাইবে।